২০২২ সালে অক্ষয় কুমারের ৫টি ছবি মুক্তি পেলেও সেগুলি একের পর এক ফ্লপ হয়েছে। চলতি বছরে অক্ষয়ের ৪টি ছবি বচ্চন পাণ্ডে, সম্রাট পৃথ্বীরাজ, রক্ষা বন্ধন, রাম সেতু প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে এবং শেষের ছবি কাটপুতলি মুক্তি পেয়েছে ডিজনি প্লাস হটস্টারে। তাই সব মিলিয়ে ২০২২ সালটা অক্ষয়ের খুব একটা ভালো কাটেনি।
আর তাই অক্ষয়ের খারাপ পারফর্মেন্সের জন্য অনেক নেটিজেন তাঁকে নিয়ে বিদ্রুপ করতেও পিছপা হয়নি। এ প্রসঙ্গে অনেকেরই বক্তব্য, ‘অতিরিক্ত কাজ করার জন্যই এমনটা হয়েছে।’ সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিট ২০২২ শে অংশ নেওয়া অক্ষয় কুমার সমালোচকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন তিনি পারছেন তাই কাজ করছেন, তাতে অন্যদের কী অসুবিধা!
অভিনেতা রাম চরণের সঙ্গে তিনি অংশ নেন এই সামিটে। যখন তাঁকে এই অনুষ্ঠানে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি কেন বছরে ৪-৫ টা করে ছবি করছেন, তখন তিনি জবাব দেন যে, ‘আমাকে বলুন তো কখনও কি কেউ তাঁর সন্তানকে জিজ্ঞেস করেন যে কেন এত বেশি কাজ করছ? বরং মানুষ বলে, কেন নেশা করছ? কেন জুয়া খেলছ? কিন্তু কে বেশি কাজ করার জন্য প্রশ্ন করে?’
আরো পড়ুন: না’ম’ছে তাপমাত্রা, প্রতিটি জেলার দো’র’গো’ড়া’য় শীত! কলকাতার খ’ব’র কি?
অক্ষয় কুমার আরও জেদের সাথে বলেন, ‘হ্যাঁ আমি বছরে ৪টে ছবি করি। আমি বিজ্ঞাপনের কাজ করি। আমি কাজ করি, আমি কারও কিছু চুরি করি না। আমি বুঝতে পারি না, সাংবাদিকরা আমায় জিজ্ঞেস করেন আমি জলদি কেন উঠি? ভোরবেলাই তো সঠিক সময় যখন ঘুম থেকে ওঠা উচিত। তাঁরা আমায় এও জিজ্ঞেস করেন, কেন জলদি ঘুমাও? আরে বোকা, রাতে মানুষ ঘুমায়। আমি বুঝি না আমি ভুলটা কী করছি। আমি কাজ করব।
সুযোগ পেলে কে কাজ করে না? আমি ৪টে কাজ করব, আমি ৫০ দিন দেব, প্রয়োজনে ৯০ দিন দেব। তবু বেশি কাজ থেকে সরে দাঁড়াব না’ অক্ষয় নাকি ৪০ দিনে একটি ছবির কাজ শেষ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ছবি ৪০ দিনে শেষ করার কথাটা সকলে ভুল বুঝেছেন। আমি বলতে চেয়েছি শ্যুটিং করার সময়। নইলে একটি একটি ছবি শেষ হতে গড়ে ৮০-৯০ দিন অবশ্যই লাগে।’