বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে ঘাসফুলের প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় দলবদলের পর এবার রাতারাতি বেশভূষাও বদল করে ফেললেন। এখন তাঁর মুখে শুধুই সম্প্রীতির বার্তা।
শুক্রবার শবে বরাতের এক অনুষ্ঠানে ফেজ টুপি পরে দেখা গিয়েছে বাবুলকে। আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। টিপ্পনি করার সুযোগ ছাড়ছেন না ডান বাম কোনও পক্ষই।
বাবুল বিধানসভা উপনির্বাচনে টালিগঞ্জে পদ্মফুলের প্রার্থী ছিলেন। যদিও জিততে পারেননি তখন। এরপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে নাম বাদ পড়তেই প্রতীক বদলে ঘাসফুল। টালিগঞ্জের বদলে এবার প্রার্থী তিনি বালিগঞ্জে।
আরো পড়ুন: কাগজ কেনার টা’কা না থাকায় সব পরীক্ষা বা’তি’ল করে দি’লো ভারতের প্রতিবেশী দেশ
গঞ্জ বদলাতেই পাল্টে গিয়েছে বেশ ভূষা। গেরুয়া বদলেছে নীল সাদায়, ফেজ টুপিতে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বাবুল সুপ্রিয়কে কটাক্ষ করে বলেছেন,” কত দুর্দশা, তিনি বলেছিলেন আমি প্রথম এগারোয় চান্স পেতে চাই।
তিনি এখন ফার্স্ট ক্লাস লিগে চান্স পাচ্ছেন না। সেই কারণে সেকেন্ড ক্লাস লিগে খেলতে হচ্ছে ওনাকে। সাংসদের টিকিট পাননি। আর কী দুর্দশা!
এই গরমে মার্চ মাসেও ফেজ টুপি পরতে হচ্ছে। এর চেয়ে খারাপ অবস্থা আর কী হবে? যাঁরা বড় বড় কথা বলতেন, সব পরীক্ষা হয়ে যাচ্ছে। আগামী দিনেও পরীক্ষা হবে।”
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্য়ায়কে কোনওদিন হিন্দু উদ্বাস্তুদের ভোট পাওয়ার জন্য বা সমর্থন পাওয়ার জন্য কখনও কাপালিক সাজতে হয়নি, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা, টিপ পরতে হয়নি।
গান্ধিজী যখন নোয়াখালির দিকে গিয়েছিলেন, তখনও তাঁকে রাস্তায় হাঁটতে মাথায় ফেজ টুপি পরতে হয়নি। এটা এখন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রক্রিয়া। এখন তো সংখ্যালঘু ভোটের দিকে তাকিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি হচ্ছে। বাবুল সুপ্রিয় তাতেই আত্মসমর্পণ করেছেন।