সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

শপিংমল হোক বা দোকান! কেন প্রায় জিনিসের দা’ম ৯৯ অথবা ৯৯৯ বা ১৯৯৯ টা’কা লেখা থা’কে?

আমরা যখন কোনো জিনিস কিনতে শপিং মল বা কোনো দোকানে যায় আমরা সেই সব জিনিস বা পোশাকের এমারপি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিজোড় সংখ্যায় দেখে থাকি। আজকাল প্রায় জিনিসের দামে ৯৯ বা ৯৯৯ টাকা ইত্যাদি লেখা থাকে। তবে আদৌ কি সেই খুচরা এক টাকা কেউ বিক্রেতার কাছ থেকে ফেরত নেন?

হয়তো দু একজন নিয়ে থাকবেন কিন্তু কখনো ভেবেছেন কেন এমন মূল্য লেখা হয়? এইরকম প্রাইস লেখার পিছনে বেশ কিছু উদ্দেশ্য থাকে। আজকাল সবার কাছে সব সময় খুচরো টাকা থাকে না। ৯৯ টাকা দিয়ে পণ্য কেনার পর বিক্রেতা যদি তার কাছে খুচরা নেই বলে জানায়,, তাহলে ক্রেতা ওই ১ টাকার জন্য, কিছু বলে না।

আপনার মনে হবে, মাত্র ১ টাকায় তো। ঠিক আছে ছেড়ে দিন কোন ব্যাপার না, বলে বেরিয়ে আসবেন। তাহলে একবার ভাবুন প্রতি জিনিসে কোম্পানির ১ টাকা করে অতিরিক্ত মুনাফা করে কত টাকা লাভ হয়!  আরও একটা বিষয় রয়েছে। যেমন এক গবেষণায় দেখা গেছে, কোন পণ্যের মূল্য শেষে যদি ‘০’ দিয়ে শেষ হয় তাহলে ক্রেতার মনে হয়, দাম অনেক বেশি।

আরো খবর: পেট্রোল-ডিজেল এখন অ’তী’ত, এবার গোবরে ছু’ট’বে Maruti Suzuki-র গাড়ি

কিন্তু পণ্যের দাম যদি বিজোড় সংখ্যা দিয়ে শেষ হয়, বিশেষ করে ৯ দিয়ে শেষ হলে ক্রেতারা ধরে নেন এটাই হয়তো সর্বনিম্ন মূল্য বা মূল্যটি সঠিক। এর ফলে ক্রেতারা ওই জিনিসটি কিনতে আগ্রহী হন। এটাকে সাইকোলজিকাল প্রাইসিং বলা হয়।

কারণ মানুষের মনের উপর এর একটা প্রভাব পড়ে। আর তাই শপিংমল হোক বা দোকানে কেনাকাটি করার সময় আপনি লক্ষ্য করবেন কোনো কোনো পণ্যের মূল্য ৯৯, ১৯৯, ৫৯৯ বা ১৯৯৯ টাকা লেখা থাকে। আর সাধারণ ক্রেতারা বোকা বনে গিয়ে সেগুলো দুম দাম কিনে নেন।