সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ঋ’ণ নিয়ে পরিশোধ করছে না! দেশের ব্যাংকগুলোর প্রায় ৪১ হাজার কোটি টা’কা গায়েব

একের পর এক ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা সামনে এসেছে গত কয়েক বছরে। ঋণখেলাপ করে বিদেশে ঘাঁটি গেড়েছেন নীরব মোদী, মেহুল চোকসি থেকে বিজয় মাল্য। সদ্য শিরোনামে এসেছে ডিএইচএফএল-র জালিয়াতি।

আরবিআই-র ২০২১-২২ অর্থবর্ষে পরিসংখ্যান বলছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কড়াকড়ির জেরে আগের চেয়ে কমলেও ঋণ খেলাপির অঙ্কটা অনেকটাই বেশি। ১০০ কোটি টাকার বেশি ঋণখেলাপির ঘটনাগুলিকে হিসেবে ধরে আরবিআই।

২০২১-২২ সালে এই ধরনের ঘটনার সংখ্যা কমে হয়েছে ১১৮। সেই সংখ্যা ২৬৫ ছিল ২০২০-২১ আর্থিক বছরে। এর মধ্যে রয়েছে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান।

আরো পড়ুন: যাত্রায় অভিনয় শিখতে চে’য়ে আবেদন গবেষক-গ্র্যাজুয়েটদের, ইনকাম হবে বছরে মোটা টা’কা

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-র খবর, ৮০টি ১০০ কোটির বেশি জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। গতবছর সেই সংখ্যাটা ছিল ১৬৭। বেসরকারি ব্যাঙ্কে প্রতারণার সংখ্যা কমে হয়ে গিয়েছে মাত্র ৩৮।

গত অর্থবর্ষে (২০২০-২১) ৯৮টি এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল।আরবিআই-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০-২১ আর্থিক বছরে ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকার ঋণখেলাপি নথিবদ্ধ করা হয়েছিল। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সেই অঙ্ক কমে হয়েছে ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি ব্যাঙ্কে ২৮,০০০ কোটির প্রতারণা হয়েছে।

বেসরকারি ব্যাঙ্ককে হারাতে হয়েছে ১৩ হাজার কোটি। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে সরকারি ব্যাঙ্কগুলির ৬৫,৯০০ কোটি ঋণখেলাপি হয়েছিল। বেসরকারি ব্যাঙ্কে ওই অঙ্ক ছিল ৩৯,৯০০ টাকা।