ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোচা যার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় প্রায় ১৫০ কিমি। এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। ইতিমধ্যেই এই ঘুর্নিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার উপকূলের জেলা গুলিতে ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুম ও হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে।
ওড়িশার ১৮টি উপকূলীয় এবং পার্শ্ববর্তী জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের হাই অ্যালার্ট থাকতে বলা হয়েছে ৷ গতকাল , মঙ্গলবার এই নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। পশ্চিমবঙ্গেও প্রস্তুতি তুঙ্গে।
পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা উপকূলে এবং বাংলাদেশেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে ঘুর্নিঝড় তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যেতে পারে। সূত্রে খবর,ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ৬ মে-র আশেপাশে তৈরি হতে পারে৷
এই ঝড়ের অভিমুখ হবে বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলের দিকে। সাধারনত এপ্রিল মাস থেকেই ভারত মহাসাগরে কোন সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। তবে এইবছর নিয়ে টানা চতুর্থ বছর এপ্রিল মাসে কোনও ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন তৈরি হয়নি।
আরো খবর: আকাশে ঘু’রে বে’ড়া’চ্ছে ভিনগ্রহী, UFO-র ভিডিও শে’য়া’র করলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ওড়িশা সরকার সুনিশ্চিত করেছে যে ঘূর্ণিঝড় যেনো কারোর মৃত্যু কারণ না হয়। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর মোট ১৭ টি দল এবং ওডিশা বিপর্যয় অ্যাকশন ফোর্সের ২০ টি দলকে হাই অ্যালার্ট থাকতে বলা হয়েছে।
আগামী ৬ থেকে ৭ মে-র মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। ৮ থেকে ৯ মে-এর মধ্যে এটি শক্তিশালী নিম্নচাপে পরিণত হবে ।
এরপর ১০ থেকে ১২ মের মধ্যে এই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে যা ১৪ মে থেকে ১৭ মে-র মধ্যে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে মায়ানমারের রাখাইন কুলের মাঝামাঝি কোন স্থানে আছড়ে পড়বে।