সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কোথায় হা’রি’য়ে গেলেন প্রশান্ত কিশোর? কোথায় দিন কা’ট’ছে ভোট কৌশলীর?

পিকে বা প্রশান্ত কিশোরের কথা আপনি ভুলে যাননি তো? মনে পড়ছে কিছু? এনার বুদ্ধির জেরেই কিন্তু বাংলায় বিধানসভা ভোটে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছিল বিজেপিকে। লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপির শক্তি বৃদ্ধির কারণে চিন্তায় পরে যায় শাসক দল তৃণমূল। পিকের বুদ্ধিমত্তাকে হাতিয়ার করে পরবর্তীতে তৃণমূল বিধানসভায় বিপুল ভোট জয়লাভ করে।

সূত্রে খবর,এই ঘটনার কিছুদিন পড়েই তিনি নিজেকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে নেন এবং বিহারে একটি কোচিং ইনস্টিটিউট খোলেন। ২০২৪ এ কি নিজেই মাঠে নেমে পড়বেন? এ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। আপাতত জন সুরজ যাত্রায় বিহার চষে বেড়াচ্ছেন তিনি।বর্তমানে আমনৌর গ্রামে রয়েছেন তিনি৷ মাঠের মধ্যে তাঁবু টাঙিয়ে দিন কাটছে তাঁর৷ পড়নে সাদা কুর্তা-পাজামা ৷

বিশেষজ্ঞদের মতে আম জনতার আস্থা অর্জন করতে চাইছেন তিনি। মানুষের মনে স্থান পেতে, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলতে গ্রামেই দিন কাটাচ্ছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত হেঁটে প্রায় ২ হাজার গ্রামে গিয়েছেন । তিনি জানিয়েছেন, “ভারতে বিরোধী শক্তি কখনই দুর্বল নয়৷

আরো খবর: আজ রবিবার, ছুটির দিনটি আপনার পক্ষে কতটা ভালো হবে জানুন, রইলো রাশিফল (02.04.2023)

কিন্তু বিরোধী দলগুলিই একে অপরের সঙ্গে লড়াই করে নিজেদের শক্তি দুর্বল করে দিচ্ছে৷ কংগ্রেস যদি ভেবে থাকে রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ খারিজ তাঁদের ভোট ব্যাংক বাড়াতে সাহায্য করবে, তাহলে ভুল করবে৷ বরং ২০২৪-এর লড়াইয়ে প্রধানমন্ত্রী পদে এখনও নরেন্দ্র মোদি এখনও এগিয়ে৷”

পিকে আরও জানিয়েছেন , “২০১১ সালে আমি যখন নিত্যনতুন রাজনীতিক স্ট্র্যাটেজির কথা বলতাম, কেউ বিশ্বাস করত না৷ কিন্তু আমার সেই পরিকল্পনা কাজে দিয়েছে ৷ মানুষ বুঝেছে যে রাজনীতিতে পেশাদাবি সাহায্যের কতটা প্রয়োজন রয়েছে৷

বিহারের মানুষকেও আমি বলেছি,একটি রাজনৈতিক দল তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করছে কিন্তু তবুও তাঁরা সেই দলকেই সমর্থন করছে ৷যদি মনে হয় শিক্ষার প্রসারে ভোট দেওয়া উচিত,তাহলে তাই করুন৷ পুলওয়ামা কাণ্ড,জাত পাতের রাজনীতি, ধর্ম নির্ভর রাজনীতি দেখে কাউকে ভোট দেবেন না৷কোনও নেতাকে উদ্দেশ্য করে বলছি না, মানুষের সামনে বিকল্প পথ গুলো উন্মোচন করছি৷’