আমাদের জীবন এখন দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যে পেন্ডুলামের মত ঝুলছে। একদিকে যেমন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন মানুষ তেমন অন্যদিকে অশনি সংকেতের সম্ভাবনা পুরো উড়িয়ে দিতে পারছে না তারা। বর্তমান পরিস্থিতিতে সবকিছু মোটামুটি স্বাভাবিক হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত সাধারণের জন্য ট্রেন চলাচল শুরু করা যায়নি। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশ অনেকটাই কমে গেছে তাই এবার প্রশ্ন উঠছে, কবে থেকে ট্রেন চলবে?
নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রশ্নের জবাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বিকেলে নবান্ন থেকে তিনি জানান, তৃতীয় ঢেউয়ে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হবে শিশুরা, এমনটাই আশঙ্কা করেছে চিকিৎসক মহল। তাই প্রত্যেক মানুষের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এক্ষুনি ট্রেন চলাচল শুরু করা যাবে না। তবে গ্রামাঞ্চলে ৫০% টিকাকরণ হলে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দুয়ারে সরকারের জন্য রাজ্যজুড়ে ২২ হাজারের বেশি ক্যাম্প করা হয়েছে। লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন জমা পড়েছে ৪০ লক্ষ। যোগ্য মানুষ হলেই সুযোগ-সুবিধা পাবেন লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের, একথা জানিয়েছেন তিনি। লক্ষী ভান্ডার ছাড়াও জমির মিউটেশন কাস্ট সার্টিফিকেটের জন্য দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে আবেদন করা যাবে।
তবে প্রকল্পের কথা জানানোর পাশাপাশি এই দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরো একবার কেন্দ্রকে ব্যাঙ্গ করে বলেন, কলকাতায় এখনো পর্যন্ত ৭৫% মানুষ টিকা পেয়েছেন। বর্তমানে রাজ্যের ১৪ কোটি মানুষের বদলে ৩ কোটি মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছেন। হাওড়াতে এখনো পর্যন্ত ৮৫% মানুষ কে টিকা দেওয়া হয়েছে।
পুরনো প্রসঙ্গ টেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ডিভিসি জল ছাড়ার বিষয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করতে হবে কেন্দ্রকে। রাজ্যের উপর যতগুলি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব গেছে, কোনোটাতেই রাজ্যকে কোন টাকা দেয়নি কেন্দ্র।