চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল। প্রচুর নম্বর পেয়ে পাশ করেছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। এবারে সেই বিতরকের মধ্যেই এসে গেল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশের সময়। প্রত্যেকবার রেজাল্ট বেরোনোর পর পরের বছরের পরীক্ষার সময়সূচি বলে দেওয়া হয়। যদিও এবারে তা সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যেই সেই প্রস্তাব শিক্ষা দপ্তরে পাঠিয়ে দিয়েছে।
পরীক্ষার রুটিন নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগে রয়েছেন ছাত্র ছাত্রীরা। পরীক্ষা অফলাইনে হবে না কি অনলাইন, তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন ছাত্র ছাত্রীরা। কোন কিছু নিয়েই স্পষ্ট ধারণা নেই তাদের কাছে। সংসদ সূত্রে জানতে পারা গেছে, ইতিমধ্যেই প্রস্তাবিত রুটিন পাঠানো হয়ে গেছে। সেই রুটিন নিয়ে আলোচনা করার পর উচ্চ শিক্ষা দপ্তর সিদ্ধান্ত নেবেন।সংসদের প্রস্তাব কে মান্যতা দেয়া যায় কিনা, তা নিয়ে আলোচনা করবেন তারা। মার্চ মাসের তৃতীয় অথবা চতুর্থ সপ্তাহে যাতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়, তার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় একাধিক বদল আসতে পারে।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নব নিযুক্ত সভাপতি চিরঞ্জিত ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় একাধিক বদল আসতে পারে। একটি পরীক্ষার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন না করে, পর্যায়ক্রমিক পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে বেশি মেধার ভিত্তিতে একজন পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা যায়। সিবিএসই এবং আইসিএসসি র দেখানো পথেই এবার হাঁটতে চলেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড।
এর আগেই সিবিএসই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা একই শিক্ষাবর্ষের শেষে দুই ভাবে নেবে বোর্ড। দুটি পরীক্ষা দুই রকম হবে। প্রথম পরীক্ষা হবে ফ্লেসিবল শিডিউলে। দ্বিতীয় পরীক্ষা কোথায় হবে, কিভাবে হবে তা স্থির করবে বোর্ড। এই পন্থাকে সম্পূর্ণভাবে অবলম্বন না করলেও একটি মাত্র পরীক্ষা দ্বারা কোন ছাত্র-ছাত্রীকে মূল্যায়ন করতে আর চান না শিক্ষা দপ্তর।
চিরঞ্জি ভট্টাচার্য বলেন, একটি পরীক্ষা না নিয়ে পর্যায়ক্রমিক পরীক্ষা নেওয়া হলে পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন অনেক বেশি সূক্ষ্ম হতে পারে। ধারাবাহিক মূল্যায়নের মধ্যে থাকলে পরীক্ষার্থীদের অনুশীলন আরো বেশি ভালো হবে। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের ওপর ধারাবাহিক নজর থাকবে শিক্ষকদেরও।
