সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আয়কর রিটার্ন জ’মা করবেন ক’খ’ন? জেনে নিন

গত সপ্তাহে ভার‍তের আয়কর দপ্তরের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে নতুন বিজ্ঞপ্তি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা রয়েছে, সেপ্টেম্বরের 30 তারিখের মধ্যে যে সকল নাগরিক নিজেদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন, তাদেরকে কোনোরকম লেট ফি দিতে হবে না। এর আগে চলতি অর্থবর্ষে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ সময়সীমা ছিল 31 জুলাই। তবে সম্প্রতি সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস (Central Board of Direct Taxes) বা CBDT এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ সেপ্টেম্বর মাসের 31 তারিখ। সেক্ষেত্রেও যদি দেরী হয় তাহলে দিতে হতে পারে লেট ফি।

কেন একজন নাগরিকের পক্ষে 31 সেপ্টেম্বরের তারিখের আগেই নিজেদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করা উচিৎ তারও কিছু কারণ আছে। যদি কোনো কারণে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করতে দেরি হয় তাহলে শাস্তিমূলক সুদের প্রকোপে পড়তে হতে পারে। আয়করের মাত্রা যদি 1 লাখ টাকার সীমা অতিক্রম করে যায়, তবে প্রতি মাসে 1% সুদ দিতে হবে – এমনই উল্লেখ আছে ইনকাম ট্যাক্স আইনের 234(A) ধারায়। এই সুদ যদি এড়াতেই হয় তবে নির্দিষ্ট সময়সীমার আগেই আয়কর দাখিল করা অতি অবশ্যই প্রয়োজন।

আবার নির্দিষ্ট সময়সীমার আগে যদি আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া হয় তাহলে আয়কর রিটার্নের কাজও তাড়াতাড়ি শুরু হয়। সর্বপ্রথম আয়কর দপ্তর থেকে যাচাই করা হয় জমা দেওয়া যাবতীয় নথিপত্র। নথিপত্রের ক্রসচেক সম্পূর্ণ হলে রিটার্নের কাজ শুরু হয়। রিটার্নের কাজ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই আপনার কাছে নির্দিষ্ট ইনটিমিনেশন নোটিস যাবে। যত তাড়াতাড়ি রিটার্নের কাজ শেষ হবে, তত তাড়াতাড়ি রিফান্ডের টাকা পাওয়া যাবে।

আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া বেশ জটিল কাজ। এমনকি ভীষণ সময়সাপেক্ষও বটে। তাই শেষ মুহূর্তের হঠকারিতায় একাধিক ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই শেষ মুহূর্তের তাড়াহুড়ো একদম না করাই উচিত। সময় থাকতেই আয়কর ফাইল করা খুব জরুরি। না হলে অনেকক্ষেত্রেই ভুলের জন্য রিটার্ন পেতে সমস্যায় পড়তে হয় নাগরিকদের৷