গানে হোক কিংবা কবিতায় সব সময় শুনে এসেছি বউ পালানো,কিন্তু এই প্রতিবেদনে আমরা যেটা বলব তা শুনতে হয়তো অবাক লাগতে পারে কারন এই ঘটনায় কিন্তু বউ পালাইনি, পালিয়েছে স্বয়ং বর তাও আবার ফুলশয্যার রাতের পরের দিন।
জানা গেছে টাকা তুলতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে উধাও হয়ে গেল বর। খোঁজাখুজি করেও কোনো রকম খোঁজ খবর পাওয়া যায়নি সেই যুবকের। অবশেষে সেই যুবকের বাড়ি তালা বন্ধ রাখতে বাধ্য হল কনেপক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে ডোমকল থানার লক্ষ্মীনারায়ণপুরের ক্যাপ্টেন পাড়ায়।
এই আজব ঘটনাটি নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে গোটা পাড়ায়। খবর সূত্রে জানা যায় ৩রা আগস্ট ডোমকলের বাবু পাড়ার বাসিন্দারা দিশা পালের সাথে ক্যাপ্টেন পাড়ার প্রসেনজিত পালের বিয়ে হয়। বিয়েটি সম্বন্ধ করেই হয়েছিল।
আরো পড়ুন: ভারতের বিচার ব্যবস্থার প্র’তি আস্থা রা’খা যাচ্ছে না: কপিল সিব্বল
হঠাৎ করেই বিয়ের পরেরদিনই কনের মোবাইলে আসে একটা মেসেজ, যে মেসেজে লেখা ছিল,” আমার বরকে কেরে নিয়েছিস তুই মরবি তুই’। এই ঘটনাটি নিয়ে দিশা কোনরকমে মাথা ঘামায় নি সেই সময় তিনি মেতেছিলেন বিয়ের আনন্দে।
এরপর দিশার ফোনে একটা রং নাম্বার থেকে বারবার কল আসতে শুরু করে এবং সেই কলে থাকে এক মহিলা এবং সেই মহিলা দাবি করেন, দিশার সাথে যার বিয়ে হয়েছে সেই যুবক তার স্বামী।
এই ব্যাপারে যখন দিশা সেই মহিলার কাছে বিয়ের প্রমাণপত্র চায় সে মহিলা প্রমাণপত্র দিতেও রাজি হয়। দিশার বক্তব্য ছিল যে হয়তো এটা কোন প্রাঙ্ক কল,মা নিয়ে মাথা ঘামানোর মত সুযোগ পাননি তিনি।
অবশেষে ৫ ই আগস্ট ফুলশয্যার পরের দিন দিশার বর এটিএম এ টাকা তুলতে যাওয়ার নাম করে বেরোয় কিন্তু তারপর আর সে বাড়ি ফিরে আসেনা। বারবার ফোন করলে কোনরকম উত্তর দেয়নি প্রসেনজিৎ। দিশার দাবি করে জানিয়েছেন, প্রসেনজিৎ বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে আটকে রয়েছে যার কারণে তাকে ঠকিয়েছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে কনেপক্ষ সহ পুলিশ কর্তৃপক্ষ প্রসেনজিতের বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে দেয়। ইতিমধ্যেই দিশার বাড়ি থেকে প্রসেনজিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায় এবং পুলিশ কর্তৃপক্ষর তরফ থেকে প্রসেনজিতের তল্লাশি এখনো পর্যন্ত চলছে।