সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কি অবস্থা, মাত্র ৫০০ টা’কা’র বিনিময়ে ৩ বছরের শিশুকে ম’ধু’চ’ক্রে বি’ক্রি করে দিলো ভাড়াটে

বিহারের রাজধানী পাটনাতে একটি তিন বছরের শিশুকে বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনায় দেশজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। মাত্র ৫০০ টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও ১৬ দিন পর পুলিশি তৎপরতায় শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই মহিলা সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সূত্রের খবর, ২২ জুন পীরবাহার থানা এলাকায় লাডো নামে তিন বছরের এক শিশু আচমকাই গায়েব হয়ে যায়। পরিবার-পরিজন শিশুটির খোঁজ করলেও কোনো সন্ধান পান না। শেষমেষ পরিবারের তরফে ভাড়াটে শাবির খানের উপর অপহরণের অভিযোগ ওঠে। তারা পুলিশের কাছে পুরো বিষয়টি জানায়। পুলিশ এলাকার লাগিয়ে রাখা একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ বের করে তদন্ত শুরু করে।

শেষমেষ ফুটেজেই স্পষ্ট হয় যে অভিযুক্ত সাবির খানের সঙ্গেই বাচ্চাটিকে শেষবার দেখা গিয়েছে। এরপর পুলিশ আর সময় নষ্ট না করে শাবিরকে গ্রেপ্তার করে এবং কঠোর হাতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পুলিশি চাপে অভিযুক্ত শাবির গোটা ঘটনা শিকার করে নিয়ে বলে সে রুক্মিণীদেবীর কাছে শুধুমাত্র ৫০০ টাকার বিনিময়ে বাচ্চাটিকে বিক্রি করে দিয়েছে।

আরো পড়ুন: সন্তান হলেই ঝা’মে’লা, কাজের ক্ষ’তি’র ক’থা ভেবে মা হতে চাইছেন না রামচরণের স্ত্রী

রুক্মিণীদেবী পাটনা স্টেশনে বাচ্চাদের দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি চালায়। তারপরই পুলিশ Racket এর মাথা রুক্মিণীকে গ্রেফতার করে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তার থেকে জানা যায় রেখা নামের একটি মহিলার কাছে ওই বাচ্চাটি রয়েছে। কিন্তু রেখাদেবী কোথায় থাকে তা তিনি জানেন না।

এরই মধ্যে পাটনার লালজোটিলার একটি বাড়ি থেকে আশেপাশের মানুষজন একটি বাচ্চার অবিরাম কান্নার আওয়াজ শুনতে পায়। সামাজিক এরপর সংস্থার সঙ্গে জড়িত লোকেরা বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে যে সেখানে ক্রমাগত ‘সে’ক্স’ Racket চলে। এরপর তারা বাচ্চাটিকে সেখান থেকে উদ্ধার করার জন্য তৎপর হয়ে ওঠে এবং খদ্দের সেজে সেখানে ঢোকে।

বাচ্চা টিকে উদ্ধার করার পর তারা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চক্রের সমস্ত লোকজনকে ধরে। তারপর পুলিশ বাচ্চাটিকে তার পরিজনদের হাতে তুলে দেয়। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে জেলে আটক করা হয়েছে। রেখা দেবীই হলেন বাচ্চা চোর রেকেটের পান্ডা। অভিযুক্তদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এটি জানার জন্য যে এরকম আরও কোনো বাচ্চা পাচার বা কোনো জায়গায় বিক্রি করা হয়েছে কিনা।