লোহিত রক্ত কণিকা ভেঙে তৈরি হওয়া বিলিরুবিনের পরিমাণ রক্তে বাড়তে শুরু করলে মানুষ আক্রান্ত হয় জন্ডিসে। মূলত বিশেষজ্ঞরা তাই বলেন। বিলিরুবিন দেখতে হয় হলুদ রঙের। যদিও জন্ডিস একটি খুবই সাধারণ রোগ।
মূলত শিশু ও বয়স্কদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। জন্ডিস প্রায়ই লিভার বা পিত্ত নালীগুলির সমস্যার সঙ্গে যুক্ত থাকে।এই রোগের কারণে ত্বক, শ্লেষ্মা ঝিল্লি এবং চোখের সাদা অংশ ক্রমশ হলুদ বর্ণের হয়ে ওঠে।
কখনও কখনও প্রস্রাবের রঙও হলুদ হয়ে যায়। অনেক সময় শরীরের নানা স্থানে চুলকানি হয়। এছাড়া, রোগী ক্লান্তিভাব অনুভব করে, পেটে ব্যথা, ওজন হ্রাস, বমি এবং জ্বরের মতো লক্ষণ শুরু হয়।
আরো পড়ুন: পুতিনের পরমাণু স্যুটকেস বহনকারী গুপ্তচর গু’লি’বি’দ্ধ নিজের ফ্ল্যাটেই!
তবে জন্ডিসের কারণ সম্বন্ধে সকলেই মনে করেন যে লিভার সঠিকভাবে কাজ না করলে এটি রক্তে বিলিরুবিন নামক একটি নোংরা পদার্থ তৈরি করতে শুরু করে। রক্তে এই পদার্থের পরিমাণ বাড়তে শুরু করলে প্রথমে চোখ ও নখ হলুদ হতে শুরু করে। আর এই পদার্থের পরিমাণ যদি বেশি হয় তাহলে হলুদ রঙ সবুজ রঙ ধারণ করে।
জন্ডিসের অনেক ধরনের চিকিৎসা আছে ঠিকই, তবে এক্ষেত্রে ঘরোয়া প্রতিকারগুলোও অনেক কাজ দিতে পারে। National Health Portal (NHP) এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের পাতার উল্লেখ করা হয়েছে, যেগুলির ব্যবহার জন্ডিস দূর করার জন্য অব্যর্থ।
অড়হর পাতা : অড়হর পাতা পিষে এর রস বের করে প্রতিদিন ৬০ মিলি রস খেলে জন্ডিস এক্কেবারে সেরে যায়।
করলা পাতা : প্রায় ৭-১০টি পাতা এক কাপ জলে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে। এরপর আধ লিটার জলে ১০-১৫ মিনিট ধরে পাতা ফুটিয়ে তা দিনে অন্তত তিনবার পান করলে জন্ডিস পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়।
মূলো পাতা : মূলোর কয়েকটি পাতা নিয়ে একটি চালুনির সাহায্যে এর রস বের করে নিতে হবে। এই রস প্রতিদিন প্রায় আধ লিটার পান করলে দশ দিনের মধ্যে রোগী সুস্থ হয়ে উঠবেন।
পেঁপে পাতা : National Health Portal (NHP) অনুসারে, এক চা চামচ পেঁপে পাতার পেস্ট এক চা চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে প্রায় এক বা দুই সপ্তাহ নিয়মিত খেলে জন্ডিস থেকে খুব সহজেই নিষ্কৃতি পাওয়া যায়। এটি খুবই কার্যকরী একটি ঘরোয়া টিপস।
তুলসি পাতা : প্রায় ১০-১৫টি তুলসি পাতার একটা পেস্ট তৈরি করে তাতে আধ গ্লাস সদ্য প্রস্তুত মুলোর রস যোগ করুন। যদি হাতেনাতে ফল পেতে চান তাহলে দুই থেকে তিন সপ্তাহ ধরে রোজ এটি পান করতে হবে।