সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কিরকম সা’জে মেয়েদের ১৬ শৃঙ্গার পূ’র্ণ হ’বে? কি বলছে ঋগ্বেদ?

শাস্ত্র অনুযায়ী হিন্দু ধর্মে বিবাহিত মহিলাদের ষোলো শৃঙ্গার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পূজার্চনা হোক বা বিবাহ যে কোনো অনুষ্ঠানেই ষোলো শৃঙ্গার বর্তমানে একটি নিয়মে পরিণত করা হয়েছে। কারণ হিন্দু ধর্মে মহিলাদের ষোলো শৃঙ্গারের বিষয়টি স্বামীর দীর্ঘায়ুর সঙ্গে সম্পর্কিত। ঋগ্বেদে ষোলো শৃঙ্গারের মাহাত্ম্য ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

ঋগ্বেদ অনুযায়ী শৃঙ্গার মহিলাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ভাগ্যও বৃদ্ধি ঘটায়। পুরাণ অনুযায়ী ষোলো শৃঙ্গারের মাধ্যমে পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করা যায়।

* পুরাণ অনুযায়ী প্রথম শৃঙ্গার হল স্নান। স্নান ছাড়া সৌন্দর্য্য প্রসাধন ব্যবহার করা যায় না, এমনকি কোনো অলঙ্কারও ধারণ করা যায় না। বিবাহিত মহিলাদের হলুদ ও চন্দনের উবটনে স্নান করার বিধান রয়েছে। স্নানের সময় মহিলারা আমলকি, শিকাকাই ও ভৃঙ্গরাজ দিয়ে চুল ধোয়ার পর বস্ত্র পরিধান করেন। তার পর অন্যান্য শৃঙ্গার করেন তাঁরা।

আরো পড়ুন: মুড়ি-কে ইংরেজিতে কি বলে? সিংহভাগ মানুষেরই তা অ’জা’না! আপনি জানেন কি?

* ষোলো শৃঙ্গারের মধ্যে দ্বিতীয় হল সিঁদুর। এটি বিবাহিত মহিলাদের সোহাগের চিহ্ন। বিশ্বাস করা হয়, এর ফলে স্বামীর আয়ু বাড়ে।

* মঙ্গলসূত্র হল তৃতীয় শৃঙ্গার। মহিলাদের সমস্ত গহনার মধ্যে মঙ্গলসূত্র সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আবার জ্যোতিষ অনুযায়ী সোনার মঙ্গলসূত্রকে কালো পুঁতিতে গেঁথে পড়লে নজর দোষ থেকে বাঁচা যায়।

* কপালে টিপ ও কুমকুম লাগানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয় মহিলাদের পক্ষে।

* মেহেন্দিকে অন্যতম শৃঙ্গার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। পুরাণ অনুযায়ী বিবাহিত মহিলাদের মেহেন্দি লাগানো শুভ। বিয়ের দিন হোক বা যে কোনো শুভ অনুষ্ঠান হোক, মেহেন্দি লাগিয়ে থাকেন অনেক মহিলাই।

* চোখের সৌন্দর্য্য বাড়ানোর জন্য কাজল লাগানো হল। জ্যোতিষ মতে, কাজল লাগালে মাঙ্গলিক দোষ দূর হয়।

* ষোলো শৃঙ্গারের সপ্তম স্থান দখল করেছে চুড়ি। লাল, হলুদ, সবুজ রঙের চুড়ি সোহাগের চিহ্ন। আবার এই রঙের চুড়িকে আনন্দ ও সমৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত করে দেখা হয়।

আরো পড়ুন: মেয়েদের শার্টের বোতাম কেন বাঁদিকে থা’কে? শুধুই কি ফ্যাশন না অ’ন্য কিছু?

* বিবাহিত মহিলারা নাকে রুপো বা সোনার নথ বা নাকছাবি ধারণ করেন। এটিও ষোলো শৃঙ্গারের মধ্যে অন্যতম। জ্যোতিষ মতে, নাকে নাকছাবি ধারণ করলে বুধ দোষ দূর হয়।

* আলতা রাঙা পা ছাড়া পুজোয় বসা নিষিদ্ধ হয়ে যায় বহু ক্ষেত্রে। দুর্গাপুজো, বাসন্তী পুজো-সহ বিভিন্ন পুজো উপলক্ষে মহিলারা পায়ে আলতা পরে থাকেন। আবার বিবাহের সময় পায়ে আলতা পরা আর একটি বাধ্যতামূলক নিয়মাচার।

* আবার বিয়ের সময় কনের মাথায় টিকলি পরানো হয়। বিয়ের পর যে কোনো শুভ অনুষ্ঠান, বিবাহে টিকলি পরার নিয়ম রয়েছে।

* আবার বাজুবন্দও ষোলো শৃঙ্গারের মধ্যে অন্যতম। দুই বাহুতে এই অলঙ্কার পরার প্রথা প্রচলিত। অর্থ রক্ষার সঙ্গে বাজুবন্দ জড়িত।