ফলের বাজারে গেলে বহু ফলের গায়ে ছোট ছোট স্টিকার লাগানো থাকতে দেখা যায়। আবার অনেক ফলের গায়ে স্টিকার লাগানো থাকেও না। ফলে দেয় স্টিকার লাগানো আছে দেখে অনেক গ্রাহকের মধ্যে স্টিকার লাগানো ফল কেনার ঝোঁক লক্ষ্য করা যায়। বিদেশের স্টিকার লাগানো ফলগুলি অত্যন্ত উন্নত মানের এবং গুণগত মানসম্পন্ন বলে ধরা হয়।
কিন্তু আমাদের দেশে ব্যাপারটা আদেও সেরকম কি? যদি আপনার এই দেশে স্টিকার লাগানো ফল কেনার প্রতি ঝোঁক থেকে থাকে তাহলে এখনি তা পরিত্যাগ করা দরকার। কারণ এই দেশে স্টিকার লাগিয়ে খুব দামি ফল হিসেবে বিক্রি করে থাকেন বিক্রেতারা।
সাম্প্রতিক ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে জানানো হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্টিকার ব্যবহার এর কারণ হলো ফলের গুনাগুন এবং দাম সম্পর্কে গ্রাহকদের ধারণা দেওয়া। কিন্তু এদেশে সেরকম নয়।
এই দেশে কার্যত সাধারন ফলের গায়ে স্টিকার লাগিয়ে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এমনকি এই স্টিকারের সঙ্গে যে আঠা ব্যবহার করা হয় তা কার্যত শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর।
এই রাসায়নিক শরীরে প্রবেশ করলে তা শরীরে নানা রকম রোগের জন্ম দিতে পারে। সাধারণত স্টিকারে চার সংখ্যার কোড থাকে। এর অর্থ হলো ফল উৎপাদনের সময় সাধারণ সার এবং কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছে।
যদি করে মধ্যে পাঁচটা সংখ্যা থাকে এবং তার প্রথম সংখ্যা 8 দিয়ে শুরু হয় তাহলে এই ফল জিনগতভাবে ফলন হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে। যদি 5 সংখ্যার কোড 9 সংখ্যা দিয়ে শুরু হয় তাহলে বুঝতে হবে এই ফল জৈবিকভাবে পাকানো হয়েছে।