সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মুকেশ আম্বানির সা’ফ’ল্যে’র ম’ন্ত্র কি? ভোর ৫ টা’য় উঠে কি কি করেন তিনি?

মুকেশ আম্বানি দেশের একজন ধনী ব্যক্তি। তাঁর মতো মানুষদের জীবন ঘড়ি বাঁধা। নিজের কর্মক্ষমতা বজায় রাখার পাশাপাশি তিনি পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। নিয়মিত ব্যায়াম করেন এবং ঘুম যাতে ঠিকঠাক হয় সেদিকে কড়া নজর রাখেন।দৈনিন্দিন জীবনে তিনি কী রুটিন মেনে চলেন জেনে নিন।

অ্যান্টিলিয়া থেকে মুম্বইয়ে সমুদ্রের মনোরম দৃশ্য দেখে ভোর 5 টায় দিন শুরু করেন মুকেশ আম্বানি। দিন তাড়াতাড়ি শুরু করার ফলে তিনি ব্যায়ামের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর প্রার্তরাশ করার সময় পেয়ে যান। একই সঙ্গে পরিবারের সঙ্গে তিনি সময় কাটাতে পারেন যা তাঁকে চাপমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।ধ্যান একাগ্রতা বাড়ায়।

এত বিশাল ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান হওয়ার কারণে মনঃসংযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনঃসংযোগে যাতে কোনও রকম চূড়ান্ত না পড়ে, তাই তিনি প্রতিদিন ধ্যান করেন। অহেতুক আগ্রাসন দূর করে মনকে ধীরস্থির করে তুলতে জিম অপরিহার্য।

আরো পড়ুন: প্রেম কো’নো বয়স মা’নে না! সাত সন্তানের মা ২০ বছরের প্রেমিকের স’ঙ্গে পা’লি’য়ে গেলেন

তাই তিনি প্রতিদিন জিমে যান যাতে তিনি চূড়ানত অস্থির সময়েও স্থিতিশীল থাকতে পারেন। মূলত সমস্ত সফল ব্যবসায়ীদের জন্য খাবার টেবিলই একমাত্র জায়গা যেখানে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটানো যায়। মুকেশ আম্বানিও এই নীতি অনুসরণ করেন। তিনি পরিবারের সাথে স্বাস্থ্যকর প্রাতঃরাশ করেন।

মুকেশ আম্বানি সামাজিক ও বুদ্ধিমত্তার দিক থেকে যে স্তরে ঘোরাফেরা করেন, সেখানে প্রতিনিয়ত নিজেকে আপ-টু-ডেট রাখাটা অন্যতম শর্ত। আর তার জন্য প্রয়োজন নিয়মিত জানা, পড়াশোনা। মুকেশ আম্বানিও ধারাবাহিকভাবে এই চর্চায় নিজেকে নিয়োজিত রাখেন।তার মতো সফল মানুষ ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলেন। এবং অফিসে যাতে দেরি না হয়, তা নিশ্চিত করেন।

তিনি লিফটে করে বাড়ির তৃতীয় তলায় যান। এটি বাড়ির পার্কিং লট। এটিতে 200 টিরও বেশি অভিজাত গাড়ি, বাইক ইত্যাদি রয়েছে। তবে তাঁর পছন্দের বাহন হল মার্সিডিজ মেব্যাক 62। এতে চড়েই তিনি সব জায়গায় যাতায়াত করেন। তিনি চেয়ারম্যান হলেও অফিসে পৌঁছতে দেরি করেন না। প্রতিদিন সকাল ১১টার মধ্যে অফিস, RIL সদর দফতরে পৌঁছান।

আরো পড়ুন: রিয়েলিটি শো-র ম’ঞ্চে “ঠো’টে’ই চু’মু খা’বো’” ব’লে দেবকে এ কি করলেন জিত?

একদিনে সব কাজ কারও পক্ষেই শেষ করা সম্ভব নয়। বরং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করা প্রয়োজন। মুকেশ আম্বানিও তাই-ই করেন। অফিসে পৌঁছানোর পর তিনি দিনের সময়সূচি জানতে নির্বাহী সহকারীর সাথে দেখা করেন। প্রয়োজনীয় মিটিং, ব্যবসায়িক আলোচনা সারারাত পরে তিনি তাঁর সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য বাড়ি ফিরে যান। এটি ব্যস্ত সময়সূচি থেকে সাময়িক বিরতি প্রদান করে এবং কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে।

তিনি তাঁর সহকর্মীদের মধ্যে স্বপ্ন দেখার সাহস জোগান ও সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার জন্য উৎসাহ প্রদান করেন।
রাতের খাবার খেয়ে তিনি ঘুমাতে চলে যান। প্রতিদিন 7-8 ঘন্টা ঘুমান। যাতে পুরো এনার্জি নিয়ে পরের দিন শুরু করতে পারেন।