সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বজ্রপাত কিজন্য হ’য়? কোন শা’রী’রি’ক ল’ক্ষ’ণে বু’ঝ’তে পারবেন যে বাজ প’ড়’বে এখনই

গরমের তীব্রতা দাবদাহের শেষে যখন কালবৈশাখীর রূপ ধরে এক পশলা বৃষ্টি নেমে আসে পৃথিবীর বুকে তখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন অনেকেই। তবে কালবৈশাখীর সময় কালে মাঠে-ঘাটে কাজ করতে গিয়ে কিংবা রাস্তায় বেরিয়ে অনেকেরই বজ্রপাতে মৃত্যু হয়। এই মর্মান্তিক মৃত্যু এড়ানোর কৌশল হিসেবে বেশ কিছু সতর্কতা বা অবশ্যপালনীয় নিয়ম বিধি বেঁধে দিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত এর সময় কোন ভাবেই খোলা স্থানে দাঁড়াতে নিষেধ করেন তারা।

গাছের নিচে আশ্রয় নেবেন না, বজ্রপাতের হাত থেকে বাঁচার জন্য ইটের দেওয়ালের বাড়ির ছাদের নিচে থাকা উচিত। ঝড়ের সময় নদী কিংবা পুকুরে থাকা যাবে না। মেঘে বিদ্যুৎ তৈরি হওয়ার পর তা নিজের এলাকার ২০ মাইলের পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকার যেকোনো প্রান্তে বজ্রপাতের আকারে পড়তে পারে। ঝড়-বৃষ্টি চলাকালীন ইলেকট্রনিক্স গুডস আনপ্লাগ করে রাখা উচিত।

আপনার আশেপাশে অঞ্চলে বজ্রপাত হবে কিনা জানবেন কিভাবে? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন তার কিন্তু বিশেষ উপায়ে রয়েছে। তারা জানাচ্ছেন ঝড়-বৃষ্টি চলাকালীন হঠাৎ যদি আপনার মাথার চুল খাড়া হয়ে যায় কিংবা দেহের লোম খাড়া হয়ে যায় তাহলে ধরে নিতে হবে যে আপনার আশেপাশে অঞ্চলে অনতিবিলম্বে বজ্রপাত শুরু হতে চলেছে। অতএব অবিলম্বে নিরাপদ আশ্রয় বেছে নেওয়া ভালো।

সাধারণত মেঘে মেঘে ঘর্ষণের ফলেই বজ্রপাত হয় বলে জানি আমরা। ব্যাটারীতে যেমন প্লাস এবং মাইনাস চার্জ থাকে, মেঘের ক্ষেত্রেও তেমন চার্জ থাকে। যদি আশেপাশে কোনো নিরাপদ আশ্রয় না থাকে অথচ বজ্রপাত শুরু হয়ে যায় তাহলে তাহলে মাটির কাছাকাছি যতটা সম্ভব মাথা নিচু হয়ে বসে পড়তে হবে। ঝড়ের সময় কোন ধাতব বস্তু কিংবা ছাতা মাথায় দিয়ে না বেরোনোই ভালো।