হিন্দু ধর্মে আমরা বিভিন্ন পুরাণের কথা পাই। তেমনই পঞ্চম পুরান হলো গরুড় পুরাণ। সাধারণত মৃত্যুর পর এই পুরাণ পাঠ করা হয়। এই পুরাণে মৃত্যু, স্বর্গ ও নরক ভোগ এবং পরবর্তী প্রজন্মের উল্লেখ করা রয়েছে। একটি ব্যাক্তি মারা যাওয়ার পর সে পরবর্তী জন্মে কি হয়ে জন্মাবে সেসব এই পুরাণে বিষদে বর্ননা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে একটি মানুষের তার কর্মের উপর পরবর্তী জীবনে তিনি কি হয়ে জন্মাবে তা নির্ভর করে।
১. গরুড় পুরাণ অনুসারে যে ব্যাক্তি ধর্মের বিরোধিতা করে, ধর্ম পালন করে না, তাঁরা কুকুর, গাধা বা উট রূপে জন্ম নেয়। আবার নারীর হত্যাকারী মনুষ্য পরবর্তী প্রজন্মে কুষ্ঠরোগী হয়ে জন্মায়।
২. এই পুরাণে বলা হয়েছে একজন মানুষ যদি তার বন্ধুকে প্রতারিত করে বা ঠকায় তাঁরা পাহাড়ে বসবাসকারী শকুন হয়ে জন্মগ্রহণ করে। পেট ভরার জন্য তখন তাঁরা মৃত প্রাণী ভক্ষণ করে।
৩. আবার যে ব্যক্তি মা-বাবা, ভাই-বোন অথবা গুরুর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন, তাঁরা দ্বিতীয় জন্ম নেন, কিন্তু গর্ভেই তাঁদের মৃত্যু হয়ে যায়। এ কারণে বহু বছর পরও তাঁরা জন্মগ্রহণ করতে পারেন না। তাই নিজের বাবা মার অসন্মান করা কখনোই উচিত নয়।
আরো পড়ুন: এটি বিমানের ক’ব’র’স্থা’ন! লাইন দিয়ে অগুনতি প্লেনের মৃ’ত’দে’হ প’ড়ে রয়েছে
৪. যে ব্রাহ্মণ সুযোগ্য ছাত্রকে শিক্ষা প্রদান করেন না, তিনি পরবর্তী জন্মে বলদ হয়ে জন্মান।
৫. এছাড়াও যে ব্যাক্তি সারাজীবন চালাকি করে কাটিয়ে দেয় সে পরের জন্মে প্যাঁচা হয়ে নাকি জন্মায়।
৬. এছাড়াও গরুড় পুরাণ মতে, যে জাতকরা নিজের বন্ধুর স্ত্রীর ওপর কুদৃষ্টি দেয়, তাঁরা পরজনমে গাধা রূপে জন্ম গ্রহণ করে। আবার যাঁরা অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে তাঁরা ঘোর নরকে যায়। এর পর সেই ব্যক্তি কুকুর, শকুন, শেয়াল, সাপ, কাক ও শেষে বকের যোনি লাভ করে।
৭.তবে শুধু পুরুষ মানুষরাই নয় যেসমস্ত স্ত্রী লোক বিয়ের পরও অনৈতিক সম্পর্কে জড়ায় তাঁরা পরবর্তী প্রজন্মে বাদুড় হয়ে জন্মগ্রহণ করে। আবার যে ব্যাক্তি স্ত্রীকে মারধর করে সে পরবর্তী প্রজন্মে নানান রোগে গ্রস্ত থাকে।
৮. এ জন্মে কোনও ব্যক্তির বিষ পান করে আত্মহত্যা করলে তাঁরা পর্বতের কালো সাপ হয়ে জন্ম নেন। এছাড়াও অনেক কথাই লেখা আছে গরুড় পুরাণে যা থেকে নিজের কুকর্ম করলে কি ফল পাওয়া যাবে মৃত্যুর পর সে সম্পর্কে অবহিত হওয়া যায়।