সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আবার কি হতে পারে সার্জিক্যাল স্ট্রা’ই’ক? মোদির সা’থে বৈ’ঠ’কে শাহ-রাজনাথ-দোভাল

খবর সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মঙ্গলবার একটি বৈঠক করেছিলেন এবং সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। রবিবার জম্মু বন্দরের কাছে ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটিতে আচমকাই একটি ড্রোন ফেলে বিস্ফোরণ করানো হয়। সূত্রে জানা গেছে যে এই ঘটনাটি ঘটানোর পিছনে হাত রয়েছে লস্কর-ই-তৈবারের।

প্রায় পাঁচটি ড্রোন পরপর তিনদিন জম্মু সেক্টরে হানা দিয়েছিল। জানা গেছে কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গির তৎপরতা ক্রমশ বাড়ছে। দুজন গুরুত্বপূর্ণ লস্কর জঙ্গি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরে একটার পর একটা সমস্যা তৈরি হচ্ছে সেই নিয়েই বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এই বৈঠকটি শুরু হয়েছিল বিকেল চারটে থেকে। যেভাবে জন্য বায়ুসেনার ঘাঁটিতে ড্রোন ফেলে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, তার পরেই সেখানকার নিরাপত্তাসংক্রান্ত নানান ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যই এই বৈঠক হয়েছিল।

২০১৬ সালে যখন উরি সেনা ঘাঁটিতে হামলা করা হয়, তার পরপরই এই ধরনের একটি বড়সড় বৈঠকে করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এখন একটি জল্পনা তৈরি হচ্ছে যে, এইবারও কি কোন বড়োসড়ো উত্তর দেওয়ার জন্যই প্রস্তুতি চলছে কিনা। জম্মু বিমানবন্দরে বায়ু সেনা ঘাঁটিতে রবিবার দুটি বিস্ফোরণ পরপর হয়েছিল, এই বিস্ফোরণের ফলে বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল একটি ভবন তার সাথে বায়ুসেনার ২ জন সদস্য যথেষ্ট গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন। এই বন্দরটি পাকিস্তানের সীমান্ত থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।

এই ঘটনার পরই জম্মু এবং কাশ্মীরের প্রধান পুলিশ দিলবাগ সিং বলেন, এই হামলার পিছনে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। খবর সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনাটির পরের দুদিন প্রায় ভোরের দিকে জম্মু সেক্টরে সামরিক ঘাঁটির কাছাকাছি দেখা গিয়েছিল ড্রোন। জম্মুর কালিচক সেনাঘাঁটির কাছে সোমবার ভোরের দিকে দুটি ড্রোন দেখা যায়, সামরিক বাহিনী যখন সেদিকে নজর করে গুলি চালায় তখন সেই ড্রোনগুলি সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

এরপরে মঙ্গলবারে জম্মুর তিনটি জায়গাতে ভোরের দিকে ড্রোন দেখা যায়, এখন প্রশ্ন হচ্ছে একটি ড্রোন সব দিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে নাকি বিভিন্ন জায়গাতে বিভিন্ন ড্রোন পাঠানো হচ্ছিল?সেই বিষয়ে এখন তদন্ত চলছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সন্দেহ রয়েছে যে এই সমস্ত ড্রোন গুলি পরিচালনা করছে লস্কররা।