সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কি অবস্থা! পাত্রী দেখানোর না’ম করে ছেলেকে অপহরণ, ১০ লক্ষ টা’কা মুক্তিপণ চা’ও’য়া হ’লো পরিবারের কাছে

বিয়ে নিয়ে কেলোর কীর্তি আজকাল বড্ড বেশি হচ্ছে। বিয়ে করবেন বলে এক যুবক পাত্রী খুঁজছিলেন। তাই তিনি পাত্রীও দেখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই পাত্রী দেখতে গিয়েই জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হল তাঁর। তারপর নাবালিকা ও তার গ্যাংয়ের হাতে অপহৃত হলেন যুবক। এখানেই শেষ নয়, যুবকের বাড়ির লোকের কাছে মুক্তিপণ চাওয়া হল ১০ লক্ষ টাকা। এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

জানা গিয়েছে, বিহারের কিষাণগঞ্জের একদল দুষ্কৃতী এই অপহরণ কার্য চালিয়েছে। তার পর ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের দাবি করা হয়েছে। এরপর যুবকের পরিবার পুলিশকে সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন। পুলিশ তৎক্ষণাৎ তদন্ত শুরু করে। অবশেষে শনিবার রাতে বালুরঘাট থানার পুলিস ও বিহারের কিষাণগঞ্জ থানার পুলিশের যৌথ অভিযানে ওই যুবককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা হয়। রবিবার ওই যুবককে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।আপাতত তিনি সুস্থ আছেন।

অপহৃত ওই যুবকের নাম মোমিনূর মণ্ডল। তিনি বালুরঘাট ব্লকের ডাঙা গ্রামপঞ্চায়েতের কেওরশ্বর এলাকার বাসিন্দা। এ প্রসঙ্গে যুবকের পরিবার বলে, গত ১৫ দিন আগে দুই বন্ধুর সঙ্গে বিহারে বেড়াতে যান মোমিনূর। সেখানে নাকি প্রথমে পাত্রী দেখানোর নাম করে জোর করে এক কিশোরীর সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় তাঁর। এর পর তাঁকে আটকে রেখে বাড়িতে ফোন করে ওই নাবালিকা ও তার সঙ্গীরা। দাবি করা হয় ১০ লক্ষ টাকা। প্রায় ১১ দিন আটকে ওই নাবালিকার ডেরায় যুবককে আটকে রাখা হয়েছিল বলে খবর। এদিকে যুবকের পরিবার পুলিশকে সব ঘটনা জানালে বালুরঘাট পুলিশ তদন্ত শুরু করে। বিহারের কিষাণগঞ্জ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা। তার পর সেখানে গিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই যুবকের প্রতিবেশী ফিরোজ মণ্ডলের বক্তব্য, “বিহারের ওই কয়েকজন মিলে একটি গ্যাং চালায়। এভাবেই যুবকদের বিয়ের ফাঁদে ফাঁসিয়ে মুক্তিপণ চায়। ওই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ খুব ভাল উদ্যোগ নিয়েছে। তাতে আমরা খুব খুশি।” যুবকের মা বলেন, “ছেলে ফোন করে কাঁদত। বলত, ‘আমাকে মারধর করছে। উদ্ধার করো।’ ১০ লক্ষ টাকা চেয়েছিল। আমরা গরিব মানুষ, অতো টাকা কোথায় পাব! ছেলের চিন্তায় খাওয়া-দাওয়া করতে পারিনি। বাধ্য হয়ে পুলিশের কাছে যাই। ছেলেকে উদ্ধার করে এনে দিয়েছে ওরা। আমি ভীষণ খুশি।” ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সোমনাথ ঝাঁ জানান, “এক যুবককে বিহারের দুষ্কৃতীরা আটকে রেখে মুক্তিপণ চায়। পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।”