অটোরুটেও এবার কর্পোরেট কালচার । কর্পোরেট কর্মীদের মতো অটোচালকদেরও সপ্তাহে দু’ দিন ডে- অফ, যেমনটা হয় আইটি ফার্ম বা বহুজাতিক সংস্থায়।কলকাতার কিছু অটোরুটে এই নতুন কর্মসংস্কৃতি চালু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। যাকে অনুসরণ করছে অন্যরাও। যার উদ্দেশ্য, অটোর সংখ্যায় লাগাম দিয়ে রাস্তার ভিড় কমানো।
রুট কমিটি ঠিক করে দিচ্ছে কোন অটো কোন দু ‘ দিন বন্ধ থাকবে।সেই দু ‘ দিনের নাম লেখা থাকছে অটোর গায়ে। রুট কমিটি ঠিক করে দিচ্ছে কোন অটো কোন দু’দিন বন্ধ থাকবে। সেই দু’দিনের নাম লেখা থাকছে অটোর গায়ে। যাতে কোনওভাবেই চোখ এড়িয়ে ছুটির দিনে সেই অটো নামাতে না পারেন চালক।
সব রুটে নয়া নিয়ম চালু না হলেও কলকাতার একাধিক রুট এই নিয়মে হাঁটছে। অটোচালকরা বলছেন, লকডাউনের পর যাত্রী অনেকটাই কমেছে। তাই সপ্তাহে এই সাতদিনের বদলে পাঁচদিন অটো নামছে বহু রুটে, যাতে সব অটোচালকই যাত্রী পান।
যাত্রীদের বক্তব্য, অটোচালকদের স্বার্থের কথা ভেবে নিয়ম করা হয়েছে। কিন্তু বাড়তি ভাড়া নেওয়া যে করোনাকালে চালু হয়েছিল তা তো এখনও কমেনি। সেই সময় অটোপিছু তিনজন যাত্রী নেওয়া হত, তাই ভাড়া বেড়েছিল। কিন্তু এখন তো চার-পাঁচজন নেওয়া হয়। রাতের দিকে শহরতলিতে ছ’জনও। কিন্তু ভাড়া তো একই রয়ে গেল।
রাতে নিউ গড়িয়া থেকে সোনারপুর রুটের অটোতে উঠলেই চালক নিচ্ছেন ২০ টাকা। একটা স্টপেজ গেলেও একই ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। গাঙ্গুলিবাগান থেকে সুলেখা ভাড়া ছিল ১০ টাকা, যা বেড়ে হয়ে গেছে ১৫। এরকম অধিকাংশ রুটেই বাড়তি ভাড়া হয়ে গিয়েছে। সরকারের এবিষয়ে নিয়ন্ত্রণই নেই।