বাঁকুড়ার গন্ধেশ্বরী নদীর পাড়ের মাটি খুঁড়তে খুঁড়তেই বেরিয়ে এল এক সুড়ঙ্গের মুখ। ওই দরজার পিছনে আরও অনের রহস্য লুকিয়ে আছে বলেই মনে করছেন এলাকার মানুষ। বাঁকুড়া শহরের সতীঘাট এলাকা থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে রাজারবাগান এলাকায় এই সুড়ঙ্গের মুখের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।
আপাতত এটুকুই দেখা যাচ্ছে। তবে এর ভিতরে কী আছে, তা জানতে উৎসাহী প্রত্যেকেই। ওই দৃশ্য দেখতে বাড়ছে উৎসাহী মানুষের ভিড়। গন্ধেশ্বরী নদীর চরে আনাগোনা করছেন বহু মানুষ। ইট ও চুন সুরকিতে বাঁধানো সুড়ঙ্গ আসলে কী তা এখনও পরিষ্কার না হওয়ায় রহস্য দানা বাঁধছে। দ্রুত প্রশাসনের পদক্ষেপ চাইছেন বাসিন্দারা।
বাঁকুড়া শহরের সতীঘাট থেকে গন্ধেশ্বরী নদীর পাড় ধরে ২-১ কিলোমিটার এগোলেই রাজারবাগান এলাকা। একসময় এলাকায় তেমন জনবসতি ছিল না বলেই জানা যায়। ঘন জঙ্গলে ঢাকা ওই এলাকা। ছিল ডাকাতদের নিত্য আনাগোনা।
আরো পড়ুন: ব্যান্ডেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম নম্বর ব’দ’লে যা’চ্ছে, জানুন বিস্তারিত
বর্তমানে ওই এলাকার কিছুটা দূরে লোকজন বসবাস শুরু করলেও গন্ধেশ্বরী নদীর পাড়ে যাতায়াত করেন খুব কম মানুষ। দিন কয়েক আগে স্থানীয় কয়েকজন নদীর পাড়ে গিয়ে দেখেন পাড়ের মাটি ধসে যাওয়ায় বেরিয়ে পড়েছে একটি ইটে বাঁধানো সুড়ঙ্গের মুখ। স্থানীয় যুবকরা নিজেরাই ওই সুড়ঙ্গে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করেন।
স্থানীয়দের দাবি সুড়ঙ্গর ভেতরে প্রায় ২০ ফুট খোঁড়া হলেও তার শেষ পাওয়া যায়নি। চওড়ায় প্রায় আড়াই ফুট ও উচ্চতায় প্রায় সাড়ে তিন ফুট আকারের এই সুড়ঙ্গের চারিদিক পোড়া মাটির ইট ও চুন সুরকি দিয়ে বাঁধানো। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করেছে বাঁকুড়া সদর থানা।
স্থানীয়দের দাবি রহস্যময় এই গুপ্ত সুড়ঙ্গের রহস্যভেদ করার জন্য প্রশাসনিক উদ্যোগে আরও খননকার্য হোক। গত ৫-৭ দিন ধরে শাবল নিয়ে খোঁড়াখুঁড়ি করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। রহস্য উদ্ধার করতে রাত পর্যন্ত কাজ শুরু করেছেন তাঁরা।
স্থানীয় বাসিন্দা ধনঞ্জয় চৌবে বা বিবেক মুখোপাধ্য়ায়ের দাবি, দেওয়াল দেখে মনে হচ্ছে এটি ব্রিটিশ আমলে তৈরি। একসময় এই এলাকা খোঁড়া ডাকাতের এলাকা বলেই পরিচিত ছিল। কিন্তু সে সব বছর ২৫-৩০ আগের কথা।