সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ঋ’ণে’র দা’য়ে বাড়ি বি’ক্রি করার ২ ঘন্টা আগেই পেলেন কোটি টা’কা’র লটারি, পা’ল্টে গেলো ভা’গ্য!

কোটি টাকার লটারি জেতার স্বপ্ন অনেকেই দেখেন। তবে কোটি টাকার লটারি জেতা বেশি করে দরকার গরিব মানুষদের, যারা একেবারে ঋণের দায়ে জর্জরিত, শুধু তাই নয়, আর্থিক অবনতির জেরে যাদের জীবনের শেষ সম্বল পৈতৃক বাড়িটুকু পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়। তবে বাস্তব কি আর সিনেমার পর্দার মতো, যে চাইলেই সব বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়া যায়!

কিন্তু কেরলের এই ব্যক্তি সত্যিই ভগবানের আশীর্বাদ প্রাপ্ত। দুই মেয়ের বিয়ে দিয়ে, ব্যবসার জন্য মোটা টাকা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে তিনি একেবারে দেনায় জর্জরিত হয়ে পড়েন। এই অবস্থায় বাড়ি বিক্রির কথা ভাবেন এবং ক্রেতাও ঠিক করে ফেলেন। কিন্তু অগ্রীম নেওয়ার ঘণ্টা দুই আগে তিনি খবর পান যে তিনি ১ কোটি টাকার লটারি জিতেছেন!

উত্তর কেরলের মঞ্জেশ্বরের বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের মহম্মদ বাভা বেশ কিছুদিন ধরেই আর্থিক অবস্থার সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছিলেন। দুই মেয়ের বিয়ে দিতে বিপুল পরিমাণ দেনা করে বসেন, এমনকি আত্মীয়স্বজনদের থেকেও ধার করেন। পরে ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের লোন নিয়ে ব্যবসায় কাজে লাগান। সব মিলিয়ে টাকার দেনার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৫০ লক্ষ।

আরো পড়ুন: নি’খোঁ’জ হওয়া গৃহবধূকে খুঁ’জ’তে খরচ হলো ১ কোটি, পাশেই প্রেমিকের স’ঙ্গে ম’ত্ত মহিলা

এই প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী দাবি করেন, লোন শোধ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে তাঁর রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ে। তাই শেষমেষ তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে বাড়ি বিক্রি করেই সব দেনা মেটাবেন। সূত্রের খবর, প্রৌঢ়কে বাড়ির জন্য ক্রেতার অগ্রীম দিতে আসার কথা ছিল রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায়।

আর এদিন সকালেই শেষবার ভাগ্য পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন ওই প্রৌঢ়। তাই তিনি সেই দিন কেরল সরকারের ফিফটি-ফিফটি লটারির টিকিট কেনেন আর বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ লটারির ফল বের হওয়ায় সেখানে দেখা যায়, প্রথম পুরস্কার ১ কোটি টাকা জিতেছেন মহম্মদ বাভা। মুহূর্তের মধ্যেই বদলে যায় সবকিছু।

এই ঘটনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ঈশ্বরই পথ দেখিয়েছেন! গতকাল ক্রেতা জানায় আজ অগ্রীম দিতে আসবেন। এছাড়া প্রায়ই আমার বাড়ির সামনে দিয়ে লটারি বিক্রেতা যান। মাঝেমাঝে দু-একটা টিকিট কিনিও।

তবে এদিন বেশ উদ্বেগের সাথেই টিকিট কিনেছিলাম।” এক কোটি টাকা থেকে কর বাদ দিয়ে ৬৩ লক্ষ টাকা হাতে পাবেন তিনি। তারপর যাবতীয় দেনা মেটানোর পর মহম্মদ বাভার হাতে যে ১৩ লক্ষ টাকা থাকবে তা তিনি গরিবদের মধ্যে বিলিয়ে দেবার কথাই বলেছেন।