একুশের বিধানসভা নির্বাচনী লড়াইয়ে বিজেপিকে গো হারান হারিয়েছে তৃণমূল। বর্তমানে তৃণমূলের নজর রয়েছে ত্রিপুরার দিকে। ত্রিপুরা দখলের উদ্দেশ্যে তৃণমূলের তরফের নেতাকর্মীরা বিজেপি শাসিত সেই রাজ্যে তৃণমূলের হয়ে জোর প্রচার চালাচ্ছে। তবে বিজিপি শাসিত ত্রিপুরাতে বারংবার প্রবল বিক্ষোভ এবং বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে তৃণমূলকে। এমতাবস্থায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে দিলেন বিশেষ বার্তা।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, একুশের নির্বাচনে বাংলাতে যেমন তৃণমূলকে ঠেকিয়ে রাখা যায়নি, তেমনি আসন্ন নির্বাচনে ত্রিপুরাতেও তৃণমূলকে দমানো যাবে না। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা, ত্রিপুরাতে তৃণমূলকে ঠেকানোর জন্য রীতিমতো গুন্ডাগিরি চালাচ্ছে বিজেপি। তবে এইভাবে তৃণমূলকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত ত্রিপুরাতে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে সংঘাত ক্রমশ বাড়ছে। প্রায় দিনই সেখান থেকে অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে।
তৃণমূলের নেতাকর্মীরা যে হোটেলে উঠেছেন সেখানেও তাদের অনেক বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। হোটেল কর্তৃপক্ষের উপর পুলিশ এবং প্রশাসনের তরফ থেকে চাপ আসছে। হোটেলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হচ্ছে, খাবারের অর্ডার ক্যানসেল করে দেওয়া হচ্ছে, এমনকি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের এক জায়গাতে বসে আলোচনা করতে দেওয়াও হচ্ছে না বলে অভিযোগ তোলেন তৃণমূলের যুব নেত্রী সায়নী ঘোষ।
এই খবর মুখ্যমন্ত্রীর কানে পৌঁছাতেই বিজেপির কড়া সমালোচনা করলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ত্রিপুরাতে গণতন্ত্র, ডেমোক্রেসি, আইন-কানুন বলে কোনো ব্যাপারই নেই। মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেছেন, ত্রিপুরাতেও বাংলার মত প্রকল্পগুলি চালু করা হোক। সেখানকার মানুষ বিনা পয়সায় চাল, চিকিৎসা পাক। বাংলার মতো ত্রিপুরাতেও ক্ষমতায় আসবে তৃণমূল। এমনটাই মন্তব্য তৃণমূল সুপ্রিমোর।