সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

পঞ্চায়েত দ’খ’ল ঘিরে উ’ত্তা’ল মালদা, ১১ সদস্যকে অপহরণ ও হেনস্তার অ’ভি’যো’গ প্রধানের বি’রু’দ্ধে

১১ জন পঞ্চায়েত সদস্যকে অপহরণ ও হেনস্তার অভিযোগ প্রধানের বিরুদ্ধে।বেশ কিছুদিন ধরেই অশান্তি চলছিল মালদহের দৌলতনগর পঞ্চায়েত নিয়ে। দৌলতনগর পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন ১১ জন সদস্য। এবার সেই ১১ জন পঞ্চায়েত সদস্যকে ‘অপহরণ’ ও হেনস্তার অভিযোগ উঠল প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।

তবে দৌলতনগর পঞ্চায়েত নিয়ে অশান্তি নতুন না। মাস খানেক আগে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েতের ১২ জন সদস্য অনাস্থা আনেন প্রধানের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ওই ১২ জন সদস্যকে স্বাক্ষর ভেরিফিকেশনের জন্য হরিশচন্দ্রপুর ব্লক অফিসে ডাকা হয়। অভিযোগ, সেই সময় ১১ জন সদস্যকে বন্দুক দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায় প্রধান নজিবুর রহমান ও হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আশরাফুল হক ও তাঁর দলবল। এরপরই বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।

এমনকি পুলিশের গাড়ি আটকে চলে বিক্ষোভ। এমনকী পুলিশের সামনে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে প্রধানের বিরোধী ও তার পক্ষের লোকেরা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি সঞ্জয় কুমার দাসের নেতৃত্বে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে।

দলীয় সূত্রে খবর, দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ২০টি আসন রয়েছে। তৃণমূল পরিচালিত দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে দলেরই অপর সদস্য পিন্টুকুমার যাদব-সহ ১১ জন অনাস্থা আনে।