রবিবার শিলিগুড়ি মহাকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধাননগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল। মৃত ব্যক্তির নাম নাম লক্ষীরাম হাসদা(৩২)। তিনি ছোট পাইক পাড়া এলাকার বাসিন্দা। পেশায় গাড়ি চালক।
পরিবারের অভিযোগ এদিন সকালে জ্বর ও বুকে ব্যথা অনুভব করেন ওই ব্যক্তি। এরপর বিধাননগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক দেখাতে আসেন। তিনি হাসপাতালে গিয়ে বললে যে গত ৩ তারিখে করোনা ভ্যাকসিন দিয়েছেন সেই কথাও নার্সকে বলেন। এরপর নার্স একটি ইনজেকশন দেন ওই ব্যক্তিকে। কিছুক্ষণ পর বাড়ি ফিরে যান। বাড়ি ফিরে গেলে আরও বেশি অসুস্থ বোধ করেন। সঙ্গে সঙ্গে পরিবার লোকজন ওই ব্যক্তিকে ফের হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এর পরেই পরিবারের লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এবং হাসপাতাল চত্বরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিধাননগর থানার ওসি ও বিশাল পুলিশ বাহিনী। যদিও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। এই বিষয়ে বিধাননগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ডাঃ দুর্লভ রায় বলেন যে সকালে ওই রোগী এসে ছিল। এরপর উনার যা অসুবিধা হচ্ছিল সেই হিসেবে চিকিৎসা করেছি। কিন্তু কিছু পরে যখন কমছিল না তখন উনাকে উত্তরবঙ্গ ম্যাডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করে দেই। এরপর উনি ম্যাডিকেল কলেজ না গিয়ে বাড়ি চলে গেছে। তার ঠিক দেড় ঘন্টা পড়ে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে এবং মারা যান। এখন এসে গন্ডগোল করছে।
আর উনাকে যতটা আমার সামর্থ্য সেইটুকু চিকিৎসা করেছি। আমরা মানুষ মারার জন্য নয় মানুষের চিকিৎসা করার জন্য আছি। আর উনাকে উত্তরবঙ্গ ম্যাডিকেল কলেজে রেফার করা হয়েছে কিন্তু উনি যদি সেখানে না যেয়ে থাকে তাহলে তো সেইটা আমাদের দায়িত্ব নয়। আর উনাদের পরিবারের আরও যদি অভিযোগ থাকে ভুল চিকিৎসা হয়েছে তাহলে ময়নাতদন্ত করুক।