সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মৃ’ত্যু’বা’র্ষি’কী পা’ল’ন করতে চলেছে তৃণমূল

জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকী পালন করতে চলেছে রাজ্য সরকার। বুধবার কলকাতার কেওড়াতলা মহাশ্মশানে ভারত কেশরী শ্যামাপ্রসাদের মূর্তিতে মাল্যদান করতে চলেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক ব্রাত্য বসু। সোমবার নবান্নে তরফ থেকে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। বিরোধী দলের প্রতিষ্ঠাতার প্রতি রাজ্য সরকারের এহেন সম্মান জ্ঞাপনকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে।

প্রসঙ্গত জনসংঘ থেকেই পরবর্তীকালে ভারতীয় জনতা পার্টির জন্ম হয়। ভারতীয় জনতা পার্টি এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সবথেকে বড় এবং প্রধান বিরোধী দল। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গকে রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান কার্যত শ্যামাপ্রসাদেরই অবদান। ১৯৪৭ সালের ২০শে জুন শ্যামাপ্রসাদের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়। শ্যামাপ্রসাদ এবং তার সমর্থক ৫৪ জন বিধায়কের দাবির কারণেই পশ্চিমবঙ্গকে আলাদা রাজ্যের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

ঠিক এই কারণেই বিজেপি প্রতিবছর ২০শে জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করে আসছে। গত রবিবার, ২০শে জুন বিজেপির তরফ থেকে ধুমধাম করে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করা হয়েছে। এর ঠিক দুই দিনের মাথায় শ্যামাপ্রসাদের মৃত্যুবার্ষিকী রয়েছে। স্বভাবতই বিজেপির তরফ থেকে ওই দিনটি পালন করার প্রস্তুতি চলছে। এবার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু বার্ষিকী পালন করতে চলেছে রাজ্য সরকার।

রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ওই দিন অর্থাৎ আগামীকাল কেওড়াতলা মহাশ্মশানে গিয়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তির পাদদেশে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। ১৯৫১ সালে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৈরি হয় ভারতীয় জনসংঘ দল। ১৯৭৭ সালে সেই জনসংঘ একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে ভারতীয় জনতা পার্টি তৈরি করে। সেই বছরই কংগ্রেসকে পরাজিত করে ভারতের মসনদ ছিনিয়ে নেয় ভারতীয় জনতা পার্টি। ১৯৮০ সালে জনসংঘের পুরনো সদস্যরা নিলেই ফের বিজেপি গঠন করে।