সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

রিটার্ন পাওয়া যা’য় দ্বিগুণ, কিন্তু বিনিয়োগ ঝুঁকিহীন! এই সরকারি প্রকল্প নি’য়ে কি জানেন আপনি?

ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে অনেকেই বিভিন্ন স্কিমে বিনিয়োগ করে থাকেন। সরকারের তরফ থেকে এমন অনেক স্কিম রয়েছে। বাজার চলতি একাধিক প্রকল্পের মধ্যে বেশকিছু প্রকল্পের থেকে রিটার্ন খুব ভালো আসে। তবে বাজার খারাপ থাকলে অবশ্য লাভের বদলে ক্ষতির আশঙ্কা থেকে যায়। বিনিয়োগের পর লাভের আশায় অনেক সময় বাধা হয়ে দাঁড়ায় ঝুঁকি। তবে বাজারে রয়েছে এমন এক প্রকল্প যাতে ঝুঁকি নেই। এমন একটি প্রকল্পের নাম কিসান বিকাশ পত্র।

কিষান বিকাশ পত্রে বিনিয়োগ করা টাকা দ্বিগুণ হতে 124 মাস সময় লাগে। দশ বছর 4 মাস সময় কালে বিনিয়োগের টাকা দ্বিগুণ হয়ে যায়। আড়াই বছরের লকইন পিরিওড রয়েছে এই প্রকল্পে। অর্থাৎ এই সময়কালের মধ্যে বিনিয়োগকারী টাকা তুলতে পারবেন না। এই প্রকল্পে বিনিয়োগের নূন্যতম অংক 1000 টাকা। বিনিয়োগের কোনো উর্দ্ধসীমা নেই। কোনো পোস্ট অফিস বা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে গিয়ে এই স্কিমের আওতায় একাউন্ট খোলা যায়।

বিনিয়োগকারী যদি 50 হাজার টাকার বেশি জমা রাখেন তাহলে তাকে প্যান কার্ড দেখাতে হবে। 10 লক্ষ টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তার আয়ের প্রমাণ দেখানো বাধ্যতামূলক। এ প্রকল্পের আওতায় 6.9 শতাংশ হারে চক্রবৃদ্ধি সুদ পাওয়া যায়। এক বছরের মধ্যে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রত্যাহার করে নিলে সুদ পাওয়া যাবে না। উপরন্তু জরিমানা দিতে হবে। এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে গেলে গ্রাহককে অবশ্যই ভারতীয় হতে হবে।

এক্ষেত্রে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে একাউন্ট ট্রান্সফার হওয়া সম্ভব। বিনিয়োগকারীর মৃত্যু হলে তার নমিনি উত্তরাধিকারসূত্রে টাকা পাবেন। জয়েন্ট একাউন্টের ক্ষেত্রে কোনও একজনের মৃত্যু হলে দ্বিতীয় অ্যাকাউন্ট হোল্ডার টাকা পাবেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশে অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার হয়। তবে সরকারি প্রকল্প হলেও আসি-সির আওতায় কিষান বিকাশ পত্রে কর ছাড়ের সুযোগ থাকে না।