সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

IIT পাশ করেও ভা’গ্য স’হা’য় না হওয়ায় আজ ভিখারি, বৃদ্ধের ইংরেজি বলার ভিডিও ভাইরাল

কত মানুষ ভিক্ষাবৃত্তি করে বেঁচে আছেন বলুনতো! রাস্তাঘাটে চলাফেরার সময়, ট্রেনে বাসে যাতায়াতের সময় প্রতিদিনই কত মানুষের অসহায় অবস্থা চোখে পড়ে। তারা আবার কেউ কেউ অঙ্গহীনও হন। কারোর পা নেই তো কারোর হাত নেই, কেউ আবার চোখে দেখতে পায় না। কখনো আধপেটা তো কখনো না খেয়েই দিন কাটাতে বাধ্য হন এই সমস্ত মানুষগুলো। আর তাই দুমুঠো খাওয়ার আশায় পথচলতি মানুষদের কাছে হাত বাড়িয়ে দেন। এভাবেই অবহেলায় জীবন কেটে যায় তাদের।

আজকালকার যুগে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এই সমস্ত গরিব ও দুস্থ ব্যক্তিদের নিয়ে নেট মাধ্যমে মাঝে মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি হলেও তার স্থায়িত্ব খুব বেশি দিন হয় না। তবে ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে এই ভিক্ষুকগুলোর জীবনেও কিছু না কিছু কাহিনী ঠিকই রয়েছে। আজকের প্রতি বেদনটিও সেই নিয়ে। আজ আপনাদের জানাতে চলেছি ৯০ বছরের উর্ধ্ববয়সী এক বৃদ্ধের জীবনকাহিনী। বৃদ্ধ ব্যক্তিকে প্রথমে দেখে ভিখারিই মনে হবে। অবশ্য মনে হওয়াটাও স্বাভাবিক, রাস্তার ধরে নোংরা কাপড়ে এক বৃদ্ধ সে না হয়ে কি বা হতে পারে! কিন্তু এই বৃদ্ধের রয়েছে এক অসাধারণ কাহিনী। এবার সেই কথাই আপনাদের জানাবো।

ছবিতে যে বৃদ্ধকে দেখা যাচ্ছে তাঁর বয়স ৯০ এর বেশি তো কম নয়। বৃদ্ধ ব্যক্তির নাম হল সুরেন্দ্র বশিষ্ঠ। আপাতদৃষ্টিতে দেখে তাকে ভিখারি ছাড়া আর অন্য কিছু মনে হবে না। কিন্তু জানেন কি এই বৃদ্ধ ব্যক্তি আসলে একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বিশ্বাস হচ্ছে না তো! তবে হ্যাঁ, ইনি যে সে ইঞ্জিনিয়ার নন, কানপুর আইআইটি থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন তিনি।

আজকের কথা নয়, ১৯৬৯ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন তিনি। এরপর এক বেসরকারি সংস্থায় দীর্ঘদিন চাকরিও করেছেন। কিন্তু সেই সংস্থাটি হঠাৎই একসময় বন্ধ হয়ে যায়। বিয়ে করেননি সুরেন্দ্র। জমানো অর্থ দিয়ে চালাচ্ছিলেন নিজের খরচাপাতি। কিন্তু কথাতে আছে না, ঘটির জল গড়াতে গড়াতে একসময় শেষ হয়ে যায়। ওনারও ঠিক সেটাই হয়েছিল। টাকা পয়সা শেষ হওয়ার পর অর্থ কষ্টে ভুগতে থাকন সুরেন্দ্র। তাই শেষমেশ ভিক্ষাবৃত্তিকেই বেছে নেন। যত যাই হোক, বেঁচে তো থাকতেই হবে, আর তার জন্য টাকা পয়সার দরকার। তিনি দিব্যি গড়গড়িয়ে ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন এখনো।

কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এই বৃদ্ধের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। আর সেই জন্যই মানুষ তাঁকে চিনেছে। ভিডিওতে গোয়ালিয়রের রাস্তায় পরে থাকতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। একটি স্বেচ্ছাস্বেবী সংস্থা তাঁকে দেখতে পায়। জানা যায় ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি সুরেন্দ্র বশিষ্ঠের জন্য কিছু পোশাক আশাকের ব্যবস্থা ও খাবারের ব্যবস্থা করে দেয়। বর্তমানে ওই ব্যক্তি কেমন আছেন তার অবশ্য সেরকম কোনো খবর নেই।