সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আ’জ জগন্নাথ দেবের স্নান যাত্রা, জানুন পুরাণের অ’জা’না ক’থা

হিন্দু শাস্ত্রের পঞ্জিকা অনুসারে ২৮ শে জৈষ্ঠ্যে স্নান যাত্রার উৎসব। জগন্নাথ প্রেমীদের কাছে এই দিনটি একটি বিশেষ জায়গা পায়। এই দিনে অসংখ্য দর্শকগণ উপস্থিত হন এই স্নান যাত্রা দেখার জন্য।

পদ্মপূরাণে কথিত রয়েছে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন প্রথম এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন পুরীতে জগন্নাথ দেবের মূর্তি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরে। এই দিন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা, সুদর্শন চক্র, মদনমোহন বিগ্রহকে মন্দির থেকে বের করে আনা হয় স্নান বেদীতে এবং সেখানেই নিয়ম অনুসারে হাজার হাজার দর্শকের সমাবেশে স্নান করানো হয়।

জগন্নাথ দেবের ভক্তদের একবার জগন্নাথ দেবের মূর্তি দেখতে আসেন, তাদের বিশ্বাস তাদের জীবনের সমস্ত পাপ শেষ হয়ে যাবে। এই স্নানযাত্রার উৎসবে বিগ্রহকে ১০৮ জলপূর্ণ ঘড়া দিয়ে অভিষেক করানো হয়, এরপরে ১৫ দিন যাবত চলেন নেত্র উৎসব।

আরো পড়ুন: ত’বে কি ৩০ বছর প্রসেনজিৎ একাই টলিউডকে টেনেছে? আমরা কি শুধুই পার্শ্ব চ’রি’ত্র?

কথিত আছে এই স্নানযাত্রার পরেই জগন্নাথদেবের জ্বর আসে,যার পর ১৫ দিন চোখ বন্ধ রাখার পর ভগবান জগন্নাথ খোলার পর তাঁকে আনা হয় আবার তারই মন্দিরে।

পুরাণ অনুযায়ী কথিত আছে শ্রীকৃষ্ণের পিতা মাতা অর্থাৎ বাসুদেব এবং দেবকী মাতার কুরুক্ষেত্রের সরোবরে একটা সময় স্নান করার জন্য ইচ্ছা জেগে ছিল।

সেই সময়ে কৃষ্ণ আসেন দারোকায়‌। কৃষ্ণ আসছে শুনে খবরটি নারদ মুনির দিতে পৌঁছে যান ব্রজে, যেখানে সমস্ত গোপীরা আসেন কৃষ্ণকে দর্শন করার জন্য। কিন্তু সেই মুহূর্তে কৃষ্ণকে চিনতে পারেননি গোপীরা, তারা কৃষ্ণকে না দেখেই সেখান থেকে চলে যান।