একদিকে টলিপাড়া, অন্যদিকে সংসার চালানোর চিন্তা। শুনতে যতটা সহজ লাগছে, ততটা সহজ ছিল না টলিউড অভিনেত্রী বিনীতার জীবন। কোনমতে দিন গুজরান হত তাদের। কলকাতায় বাবা-মায়ের সঙ্গে একটি ঘর ভাড়া করে থাকতেন এই অভিনেত্রী। দীর্ঘ লকডাউনে আরো বেশি দুর্দিনের সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাদের। চাকরি খুঁজে উপার্জনহীন হয়ে পড়েন বিনীতার বাবা। মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেও বাবার স্বপ্ন পূরণ করার সিদ্ধান্ত নেন বিনীতা।
স্নাতকোত্তর শেষ করে সরকারি স্কুলের একটি চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। মাসে বেতন মাত্র আড়াই হাজার টাকা। তাদের সংসার চালানো বেশ দুষ্কর ছিল। এরপর সরকারি স্কুলে চাকরি করার পাশাপাশি থিয়েটার দলে যুক্ত হন তিনি। আস্তে আস্তে টলিপাড়ায় কাজের সুযোগ পাওয়া যায়। বিজ্ঞাপন থেকে ওয়েব সিরিজে কাজ করে সংসারের সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছেন বিনীতা।
https://www.facebook.com/binita.guha.50/posts/394719825619093
লকডাউনের কাজের অভাব এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল এই অভিনেত্রীকে। কিন্তু এত কিছুর পরেও বাবার স্বপ্ন পূরণ করেন তিনি। বাবাকে কলকাতার বুকে খুলে দিলেন এক চায়ের দোকান। ওখানেই এখন কাজ করেন তার বাবা। মেয়েদের কাজের শেষে সেখানে গিয়ে লুচি ভাজেন, চা তৈরি করতে সাহায্য করেন। অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি এই কাজ করতে বিন্দুমাত্র লজ্জা নেই তার। বাড়ির কাজের মতই বাবার চায়ের দোকানে কাজ করতে ভালোবাসেন তিনি। যদিও সদ্য খোলা চায়ের দোকান থেকে এখনো সেই ভাবেই উপার্জন হয়নি তাদের, তবে কিছুদিনের মধ্যেই এই ব্যবসা মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে, এই নিয়ে আশাবাদী এই ২৮ বছরের অভিনেত্রী।