প্রশাসন তৈরিই করা হয়েছে যাতে অন্যায় না হয়। কেউ কোনো ভাবে অত্যাচারিত না হয়, সর্বোপরি সকল জনসাধরণকে রক্ষা করার জন্যেই পুলিশি ব্যাবস্থা শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু রক্ষকই যদি ভক্ষক হয় তাহলে তো প্রশাসনের প্রতি ভরসা রাখা মুস্কিল হয়ে পড়ে। আর এরকমই একটি ঘটনা সামনে আসে সংবামাধ্যমে। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার চাপড়ায়। শোনা যাচ্ছে নদীয়ার চাপড়া থানার এক সুন ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে এক মারত্মক অভিযোগ ওঠে। জানা যায় সেই সাব ইন্সপেক্টর নাকি ঘুষ চেয়ে হুমকি দেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
যাকে এরকম হুমকি দেন তিনি সেই ইন্সপেক্টরের সাথে হওয়া সমস্ত কথা বার্তা রেকর্ড করেন ফোনে। আর তার পরেই তিনি মামলা করেন কোর্টে সেই অফিসারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সেই রেকর্ডিং শুনেই ক্ষোভ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। অবিলম্বে দুর্নীতি দমন আইনে ওই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা শুরুর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুধু তাই নয় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চের তরফে এই ওই সাব ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
দাবির হালসানা নামে এক ব্যাক্তি অভিযোগ করেন তাঁকে, এক লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়ে ফোনে হুমকি দিয়েছিলেন ওই সাব ইন্সপেক্টর। ওই অফিসার বলেন ১লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে হবে, না হলে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে তাকে। নদিয়ার চাপড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর চন্দন সাহার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ, তিনি এক ব্যক্তিকে ফোন করে বলেছিলেন, ১লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে হবে, না হলে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে। এই অভিযোগে মামলা করলেও তিনি উপযুক্ত তথ্য তুলে দেন তদন্তকারীর হাতে।
আরো পড়ুন: Infinix Note 12 Pro-র বি’ক্রি শু’রু হলো, পাওয়া যাচ্ছে বি’শা’ল ডিসকাউন্ট
সেই মামলা অনুসারে আদালতের তরফ থেকে প্রাথমিকভাবে সিআইডি-কে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এডিজি সিআইডি-কে দিয়ে তদন্ত করানোর কথা বলেছিল আদালত। সেই মতো তদন্ত চলে। বৃহস্পতিবার সেই তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় আদালতে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছে সিআইডি। আর সব দিক বিবেচনা করার পরে আদালত ওই সব ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড করেন বলে জানা যাচ্ছে।