বর্তমান যুগেও এমন ধরনের লোক আছে এই কথা জানলেই অবাক লাগে। উড়িষ্যার এক স্টেশনে বিশাল বিশাল বোঝা বহন করতে দেখা যায় নাগেশ পাত্রকে। এই কাজ করতে দেখা যায় রাতের বেলায়। তবে সকালে তিনি একেবারে অন্য ধরার কাজ করে থাকে। আর সেই কাজটা হল, তিনি বেসরকারি একটি কলেজে পড়ান।
এখন প্রশ্ন হল তিনি এমন কাজ কেন করেন, এর পেছনে রয়েছে একটি বড় কারণ। বর্তমান সময়ে এইরকম সত্যিই কম ভাবে, তিনি গরিব অনাথ শিশুদের পড়ানোর জন্য একটি কোচিং সেন্টার খুলেছে। একটা সময় তিনি একাই পড়াতেন, কিন্তু পড়ে ছাত্র সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে, তার সাথে আরো কয়েকজন শিক্ষক সেখানে পড়ায়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে বাকি শিক্ষকদের বেতন কিভাবে মেটাবে সে? সেখানেই তাদের বেতন মেটানোর জন্য তিনি কুলির কাজ বেছে নিয়েছে। সকালেই একটি বেসরকারি কলেজের গেস্ট লেকচারার তিনি, কলেজ থেকে বেরিয়ে চলে যান তিনি কোচিং সেন্টারে। সেখানে কাজ শেষ হওয়ার পরেই তিনি একেবারে কুলির কাজ করতে চলে যান স্টেশনে।
আরো খবর: SBI গ্রাহকদের জন্য বি’রা’ট খবর, FD-তে বাড়তি সুদ দেওয়া শু’রু হলো, জানুন বি’শ’দে
করোনার সময় থেকে এই কোচিং সেন্টার শুরু করেন তিনি, প্রথমদিকে তিনি একাই পড়াতেন কিন্তু একটা সময় ছাত্রসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আরো কয়েকজন শিক্ষক রাখতে হয়ে তাকে। তিনি যে বেসরকারি কলেজের গেস্ট লেকচারার, সেখান থেকে আট হাজার টাকা বেতন পান তিনি।
আর সেটাই পুরোটা পাঠিয়ে দেন মা-বাবার কাছে। মানুষের ইচ্ছা থাকলে সব কিছুই সম্ভব যেটা প্রমাণ করে দিয়েছে তিনি নিজে। প্রথম থেকেই তার ইচ্ছে ছিল গরীব শিশুদের পড়াবেন তিনি, যেটার সূত্রপাত করোনাকাল থেকেই শুরু হয়।।