সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এবার ভুয়ো MP, ভু’য়ো সাংসদ ঘি’রে ব্যা’প’ক চা’ঞ্চ’ল্য রাজনৈতিক মহলে

ভুয়ো শিক্ষক, ভুয়ো ডাক্তার, ভুয়ো পুলিশ, ভুয়ো আইএএস-আইপিএস এর পর এবার খোঁজ মিলল ভুয়ো সাংসদের। জানা গিয়েছে ওই ভুয়ো সাংসদ হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সরকারি দফতরে ঘুরে বেরাচ্ছিল সে। শনিবার রাজস্থানের বুন্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই সাথে গ্রেফতার করা হয়েছে ভুয়ো সাংসদের এক আত্মীয়কেও।

ধৃত ভুয়ো সাংসদের নাম যুগজিৎ সিং ওরফে পুরণ সিং। ওই ব্যক্তি নিজেকে পঞ্জাবের রাজ্যসভার সাংসদ নরেন্দ্র গিল হিসেবে পরিচয় দিচ্ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, বিগত তিন দিন ধরে বিভিন্ন সরকারি অফিসেও যাচ্ছিল ওই ব্যক্তি আর জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনুসন্ধান করছিল। ওই ব্যক্তি এবং তাঁর আত্মীয় বুন্ডি সার্কিট হাউজে আস্তানা নিয়েছিল বলে খবর। এমনকি যুগজিৎ এক ভুয়ো ভিসিটিং কার্ডও বানিয়েছিল। সেই কার্ড দেখিয়ে জেলাস্তরের আধিকারিকদের নিজের সাংসদ হিসেবে পরিচয় দিত এবং আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের সময় চাইত।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, যুগজিৎ সিং বৃহস্পতিবার বুন্ডি জেলা কালেক্টর এবং বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছিল। ওই বৈঠকে যুগজিৎ নিজেকে পঞ্জাবের রাজ্যসভা সাংসদ হিসাবে পরিচয় দিয়েছিল। পরের দিন, সে বুন্ডি জেলা কালেক্টরের অফিসে যায় এবং কালেক্টরের ব্যক্তিগত সহকারীকে হিন্দলির তহসিলদারের কাছে ফোন করতে বলে এবং জমি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের জন্য তাকে সহায়তা করার জন্য বলে।

এদিকে ওই দুই ব্যক্তির সন্দেহজনক আচরণের খবর পুলিশের কাছে পৌঁছোতে খুব বেশি সময় লাগেনি। আর তারপরই পুলিশের একটি দল ওই দুই জনের উপর নজরদারি রাখতে শুরু করে। সিটি পুলিশ সুপার জয় যাদব সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, পুলিশের ওই দলটির দায়িত্ব ছিল ওই ব্যক্তির পরিচয় যাচাই করার জন্য।

পরে সন্দেহ গভীর হওয়ায় এবং আরও তদন্ত করা হলে জানা যায় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি হিমাচল প্রদেশের উনা জেলার আম্ব শহরের বাসিন্দা। নাম জুগজিৎ সিং। শনিবার বুন্ডি সিটি থানার এসএইচও সহদেব মীনার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বুন্ডির বলচাঁদ পাড়া এলাকার সুতার নাকা এলাকা থেকে জুগজিৎ সিং এবং রবীন্দ্র চাবরাকে গ্রেফতার করে।

বুন্ডির জেলা কালেক্টরের ব্যক্তিগত সহকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে, পুলিশ যুগজিৎ সিং এবং তার আত্মীয় রবীন্দ্র চাবরার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৭০, ১৭১, ৪১৯, এবং ১২০ (বি) ধারার আওতায় মামলা রুজু করা হয়েছে। গোটা বিষয়টির সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছেন কিনা, তা জানতে পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, ভুয়ো সাংসদের সহযোগী চাবরা আরও পাঁচটি ফৌজদারি মামলায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, যার মধ্যে ‘খুনের চেষ্টা’ মামলাও রয়েছে।