কখনো কখনো দেখা যায় যে ছোট ছোট বাচ্চারা এমন এক একটা কাজ করে যা অন্যান্য বড় বড় মানুষদেরও অবাক করে দেয়। যদিও আজকাল গোটা বিশ্বে ছোট ছোট বাচ্চারা খুব অল্প বয়সে সফলতা টাকে চূড়ান্ত পর্যায় করছে। দেশ-বিদেশের আনাচে-কানাচে এরকম প্রতিভা আমাদের চোখের সামনে উঠে আসে, এরকমই একটি দেশের কোনের থেকে উঠে এলো নতুন এক প্রতিভা। মাত্র ১৫ বছর এই নিজের সফলতাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে করল এই কিশোর।
দিল্লির সুভাষ নগরের এই কিশোরের কৃতি যা, সকলের সামনে ইতিমধ্যে এসে গেছে। সুভাষ নগরের স্কুল সর্বোদয় বালক বিদ্যালয় যেখানে নবম শ্রেণীতে পড়ে এক কিশোর, এমন এক প্রতিভা দেখিয়েছে যা সকলকে অবাক করে দিয়েছে। নবম শ্রেণীতে পড়ে রাজন একটি ইলেকট্রিক বাইক বানিয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। রাজনের এই কাজ দেখে সবাই অবাক হয়ে গেছে।
রাজন জানিয়েছে, সে মায়াপুরী কভার থেকে একটি বাইক কিনে এনেছিল এবং তার পরেই এটিকে ইলেকট্রিক বাইকে তৈরি করে। রাজনের এই কাজের সাথে বেশ কিছু জন ছিল যারা তাকে সাহায্য করেছিল। নষ্ট হয়ে যাওয়া একটি বাইকে ইলেকট্রিক বাইকে পরিণত করে সত্যিই এক অভূতপূর্ব কাজ করেছে এই ১৫ বছরের কিশোর। একটি অসাধারণ বাইককে দেখার জন্য দূর দূর থেকে অনেকেই এসেছে।
https://www.facebook.com/ANINEWS.IN/posts/4215615591884505
সাংবাদিকদের সে জানিয়েছে, এর আগে সে একটি ই- সাইকেল তৈরি করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সেখানে ব্রেকটা সঠিক ভাবে লাগাতে পারেনি, কারণে সে যখন এই সাইকেলটি চালাচ্ছিল তখন ও সেখান থেকে এসে পড়ে যায়। সে আরো জানায়, তার মা-বাবার কাছে এসে আবদার করেছিল একটি পুরনো বাইক কিনে দেওয়ার জন্য, এটার দাম ছিল ৪৫ হাজার টাকা। এইবার সে এই ইলেকট্রিক বাইক টি বানাতে সফল হয়েছে এটাই তার আনন্দ।
এই বাইকটা রাজন তিনদিনে বানিয়ে ছিল কিন্তু এটি তৈরি করার সমস্ত জিনিসপত্র কেনার জন্য তার তিন মাস লেগেছিল। এই সময়ে সে গুগল থেকে নানারকম প্রশিক্ষণ নিয়েছিল যে, কি করে এটি বানানো যায়। এই বাইকটি ৪৮ ভোল্টের চার্জার লাগিয়ে ছিল এবং সেটা প্রায় ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা চলার সক্ষমতা রাখবে। এই বাইকের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ হলো, তেলের চিন্তা করতে হবে না।