পাপমোচনী একাদশী যে একাদশী পালন করলে ইহজগতের সমস্ত পাপ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। যেকোনো পাপ করলে তা ধুয়ে যায়। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী এই দিন ঘুম থেকে জেগে ওঠেন বিষ্ণুর তিনি সারাদিন জাগ্রত থাকেন এবং ভক্তদের আশীর্বাদ করেন।
বিষ্ণু অর্থাৎ নারায়ন এই দিন নিয়ম মেনে নারায়নের পুজো করতে হয়। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী এই একাদশী পালন করলে কখনোই মিথ্যা কথা বলা উচিত নয় তাতে রেগে যান বিষ্ণু। জ্যোতিষে বলা হয় এই একাদশীর উপবাস করা হলে এক ব্যক্তির ব্রাহ্মণ হত্যা সোনা চুরি মদ্যপান এবং ভ্রুণ হত্যার মতো জঘন্য পাপ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
আবার এই ব্রত রাখলে বাড়িতে সুখ ও সম্পদ আসে বলে জানা যায়। আগামী ১৭ ই মার্চ দুপুর দুটো ছয় মিনিটে একাদশী শুরু হচ্ছে। ১৮ই মার্চ বেলা ১১ঃ১৩ মিনিটে শেষ হবে। ১৮ই মার্চ পালন করা হবে উপবাস।
কিভাবে করবেন এই দিন পুজো এই দিন ব্রহ্ম মুহূর্তে ঘুম থেকে উঠে স্নান ও ধ্যান করুন। পুজোর ব্রত সেই সময় থেকেই শুরু হবে। ষোড়শ উপাচারে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করুন।
আরো খবর: এই ৪ রাশির লোকেদের সঙ্গে স’ম্প’র্কে জ’ড়া’লে সাবধানে থাকুন, এরা রিলেশনে খোঁ’জে’ন স্বাধীনতা
ঈশ্বরকে ধুপ ঘি এর প্রদীপ চন্দন ও ফুল অর্পণ করুন। ভিক্ষুক ও অভাবীদের খাবার দিন। এই একাদশীর দিন রাত জেগে ঈশ্বরের ধ্যান করা উচিত। একাদশী করলে অবশ্যই পারন করা উচিত। লোকমুখে জানা যায় অতীতে চৈত্রথ নামের একটি বন ছিল। এখানে গুণী ঋষি তপস্যা করতেন।
দেবরাজ ইন্দ্র অপ্সরা দেবতাদের নিয়ে সেখানে পরিভ্রমণ করছিলেন। ঋষির তপস্যা ভঙ্গ করতে কামদেব মঞ্জু ঘোষ নামে এক অপ্সরাকে পাঠিয়েছিলেন। তাতে ধ্যানভঙ্গ হয় ঋষি পুত্রের।
তিনি অপ্সরার মুগ্ধ হয়ে তার সঙ্গে অনেকগুলো বছর অতিবাহিত করেন। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল বুঝতে পেরে তিনি বিষ্ণুর কাছে বর চান। বিষ্ণু তাকে এই একাদশী করবার নিদান দেন।