এটাই নাকি পাতালে যাওয়ার রাস্তা, একেবারে পাতাল লোক কিংবা নরক লোক বললেও ভুল হবে না। বাইরে থেকে একেবারে মন্দির, কিন্তু ভেতরে নাকি নরকের দ্বার। সেখানে রয়েছে এক রহস্য ময় এক সুড়ং, সেখান দিয়ে খুব কষ্টে একজন মানুষ গলে যেতে পারে। মেঝের মধ্যে রয়েছে ফাটল, সেখান থেকেই উঠছে ধোঁয়া, কারণ বয়ে যাচ্ছে ফুটন্ত জলপ্রপাত।
সেটার নিচেই নাকি রয়েছে পাতালের প্রবেশ পথ।সেখানেই বাস করে পাতালের দেবতা প্লুটো। সবাই সেখানে প্রবেশ করতে পারে না, কেবলমাত্র পুরোহিতেরাই সেখানে প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হল কোথায় রয়েছে সেই গুহা, যেটা নাকি গড়ে উঠেছিল আড়াই হাজার বছর পরে।
হিয়েরাপোলিস নামের উন্নত নগর, যেখানে রয়েছে একটি উষ্ণ প্রস্রবণ যেটা কিনা খুবই পবিত্র নগরী নামে পরিচিত। সেই নগরেই নাকি খোলা রয়েছে নরকের দ্বার। যেখানে একবার কেউ প্রবেশ করেছে তো মরেছে, কারণ সে আর ফিরে আসতে পারে নি কোনোদিন। এই গুহার খবর মেলে ১৮৮৭ সালে।পরে খনন কার্য চালিয়ে এই মন্দিরের খোজ পাওয়া যায়।
অনেক পুরোনো পুথির খোজ পাওয়া যায়। সেখানেই নাকি রোমান দেবতা প্লুটোর আরাধনা করা হত। পশুপাখিদের উতসর্গ করা হত দেবতার উদ্দেশ্যে, পায়ে দড়ি বেধে নাকি পশুপাখিদের গুহার মধ্যে ছেড়ে দিতেন, তারপরে যখন তাদের মৃত্যু হত সেটাকেই মাংস প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করা হত।
কিন্তু পুরোহিতেরা যখন সেই গুহায় প্রবেশ করত তখন কিন্তু অনায়াসেই ফিরে আসতে পারত। এই কারণেই সবার মধ্যে বিশ্বাস জন্মায় যে তাদের মধ্যে নিশ্চয়ই কোনো না কোনো অলৌকিক শক্তি রয়েছে।