পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে যেন গুপ্তধনের হদিশ মিলেই চলেছে, এই রাজ্যে এতটাকা আসল কোথা থেকে? সবার মনে প্রশ্ন একটাই। কোটি কোটি টাকা কারও বেড় হচ্ছে ওয়ার্ড ড্রব থেকে, আবার কারও টাকা বের হচ্ছে খাটের তলা থেকে। এবার আবার বক্স খাটের ভেতরে রয়েছে গুপ্তধন। প্রথমে শিবপুর ও তারপরে মন্দিরতলা। প্রথমে গাড়ি ও ফ্ল্যাট, এবার উদ্ধার হল একগাদা সোনা ও কারি কারি টাকা। এই গুপ্তধন উদ্ধার করেছে কলকাতা পুলিশের এন্টি ব্যাঙ্ক ফ্রড টিম।
রাশি রাশি টাকার উতস খুজতে গিয়ে একাধিক তথ্য উদ্ধার করল তারা। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী যেটা জানা যাচ্ছে, সেটা হল দুই ভাই এর নাম পান্ডে ব্রাদার্স। তারা একাধিক ব্যাঙ্ক একাউন্ট খুলে কালো টাকা সাদা করার ফন্দি করেছিল। এটাই ছিল তাদের ব্যবসা। ইতিমধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। একটা কথা শুনেছিলেন হয়ত টাকার গদিতে ঘুমোয় নাকি কিছু লোকজন, পুলিশ যখন তল্লাশি চালায় তখন তারা সেই কথাকে বাস্তবের রুপ দেয়।
কারন বক্স খাটের ভেতরে সাজানো থরে থরে টাকা। বালিশের ভেতরে থরে থরে টাকা, সব দুহাজার, ৫০০ টাকার নোট। আজ সোমবার মন্দিরতলার একটি অভিজাত আবাসনে চার্টার্ড একাউন্ট হিসেবে পরিচিত শৈলেশ পান্ডের তিনটি ঘর থেকেই টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের পরিমাণ ৫ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকা।
আরো পড়ুন: শিক্ষক প্রশিক্ষণ সেন্টারগুলোই কি টেট কে’লে’ঙ্কা’রি’র আঁতুরঘর? ত’থ্য জা’ন’তে তৎপর ED
পুলিশের অনুমান নতুন একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের ইন্ট্রোডিউসার ছিলেন সেই শৈলেশ। তার যে সমস্ত গাড়ি বাড়ি উদ্ধার হয়েছে সাথে কোটি কোটি টাকা সমস্ত কিছুই হয়ত আসত বিদেশ থেকে।
বিদেশ থেকে আসা কালো টাকা সাদা টাকা করাটাই ছিল তাদের কাজ।গাড়ি বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ধীরে ধীরে তার সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে, এখন সেই পরিমাণ ৮ কোটির ঘরে। মনে করা হচ্ছে এই চক্রের শিকড় অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত। এখন শৈলেশ ও অরবিন্দ দুজনেই বেপাত্তা।