মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম স্বপ্নের প্রকল্প লক্ষীর ভান্ডার। বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী ইশতেহারে জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ক্ষমতায় এলে তিনি মহিলাদের জন্য ১০০০ ও ৫০০ টাকার ভাতা দেবার ব্যবস্থা করবেন মাসে। কথা রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুরু করেছিলেন লক্ষ্মীর ভান্ডার। রাজ্যের কয়েক কোটি মহিলা এই প্রকল্পের আওতায় এসেছেন। যদিও এই প্রকল্পের আওতায় আসার জন্য এতদিন কিছু বিধি-নিষেধ ছিল যেমন অবশ্যই প্রয়োজন হতো আধার কার্ড এবং স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। তবে এবার স্বাস্থ্য সাথী না থাকলেও লক্ষ্মীর ভান্ডার করা যাবে।
এতদিন স্বাস্থ্য সাথীর অন্তর্ভুক্তরাই লক্ষ্মীর ভান্ডারের আবেদন করতে পারতেন কিন্তু এবার থেকে সবাই পারবেন আবেদন করতে। শনিবার থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে ষষ্ঠ দফায় দুয়ারে সরকার। আর তাতেই সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছে বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা এবং লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি মানুষের আবেদন পড়েছে। রাজ্যজুড়ে ক্যাম্পে প্রতিদিন ৫ লক্ষ মানুষ আসছেন। তারা এসে বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন.! একদিকে যেমন চলছে ক্যাম্প সেই সঙ্গে রয়েছে মোবাইল ক্যাম্প।
সেখান থেকে মানুষ তাদের যাবতীয় পরিষেবা পাচ্ছেন। তেত্রিশটি সরকারি পরিষেবার জন্য আবেদন পত্র নেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেকটি দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে থাকছে স্বাস্থ্য শিবির। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড না থাকলেও লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করা যাবে শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব।
সেই শর্ত এবার তুলে নিয়েছে সরকার স্বাস্থ্য সাথী না থাকলেও যে কেউ আবেদন করতে পারবেন লক্ষ্মীর ভান্ডারে। সাধারণ ঘরের মহিলারা ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলারা ১০০০ টাকা করে মাসিক ভাতা পাবেন।