জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, বিভিন্ন দ্রব্য কিংবা উপাদানের সান্নিধ্য জীবনকে সুখ স্বাচ্ছন্দ্যে ভরিয়ে তুলতে পারে। জ্যোতিষ বিদ্যায় সম্প্রতি এরকমই একটি ফুলের সন্ধান দিচ্ছেন যে ফুলের উপস্থিতি মানুষের জীবনে আনন্দ আনতে পারে। সেই ফুলের নাম হল নাগকেশর ফুল। সাধারণত ভারতের পশ্চিমঘাট এই পাওয়া যায় এই প্রজাতির ফুল। এই ফুলের সঠিক ব্যবহার জীবনকে সুখ, স্বাচ্ছন্দ এবং আনন্দে পরিপূর্ণ করে তুলতে পারে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, পশ্চিমঘাট ও দক্ষিণ ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল ও চট্টগ্রাম অঞ্চলেও এই ধরণের ফুলের গাছ দেখতে পাওয়া যায়। ভারতবর্ষের জুড়ে এই ফুলের তিনটি প্রজাতি পাওয়া যায়। তিনটি ভিন্ন প্রজাতির নাম হলো, নাগেশ্বর, নাগকেশর ও নাগলিঙ্গম। নাগকেশর ফুলের গাছ প্রায় ৩০ মিটার লম্বা হয়। এই গাছের বাকল ১ সেমি পুরু এবং লালচে হয়ে থাকে তবে ডাল বেশ নরম হয়।
গাঢ় সবুজ বর্ণের পত্রফলক পত্রফলক ১২-২২ সেমি লম্বা এবং ৫-৭ সেমি চওড়া হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, পরপর ৭ দিন পুজোর সময় ঠাকুরের আসনে একটি নাগকেশর ফুল অর্পন করে সেই ফুল সাদা কাপড়ে মুড়ে ব্যবসার ক্যাশবাক্স বা অফিসের ডেস্কে রেখে দিতে হয়। এতে সাংসারিক উন্নতি হয়। আবার একটি নাগকেশর ফুল, সামান্য চাল, একটি তামার টুকরো, কাঁচা হলুদ ও একটি গোটা সুপুরি একসঙ্গে বেঁধে ঠাকুরের আসনে রেখে পুজো করলেও সংসারে শান্তি ফেরে।
এক পূর্ণিমা থেকে পরবর্তী পূর্ণিমা পর্যন্ত একটানা শিবলিঙ্গে এই ফুল অর্পণ করতে পারেন। পুজো শেষে ফুলগুলো টাকা রাখার জায়গায় রাখলে অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি হয়। শুভ তিথি দেখে রুপোর মাদুলিতে মধু এবং একটি নাগকেশর ফুল একসঙ্গে রেখে গলায় পরতে পারেন অথবা টাকা রাখার জায়গায় রেখে দিতে পারেন। তাতেও আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি সুনিশ্চিত।