সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বলিউড ফিল্মে এই অভিনেত্রী সবথেকে বেশি ‘ধর্ষ’ণে’র’ শি’কা’র হয়েছেন! চিনে নিন তাকে

বলিউড ছবিতে পায়ের তলার মাটি শক্ত করে পাকাপাকি জায়গা বানানো মুখের কথা নয়। সেই জন্য কত কিই না করতে হয়। আর বিরোধিতা করতে চাইলে চিরতরে বাদ পড়তে হয় সিনে জগত থেকে।

তাই প্রত্যেকেই নানাভাবে চেষ্টা করেন পাকাপোক্ত জায়গা বানানোর। আর সেই সূত্রেই অন্য রকম এক রেকর্ড দখলে এই অভিনেত্রীর। হিন্দি ছবিতে ধ’র্ষ’ণে’র দৃশ্যে সবচেয়ে বেশি বার পর্দায় দেখা গিয়েছে এই অভিনেত্রীকেই। কার কথা বলছি বুঝতে পারছেন কি!

আশির দশক পর্যন্ত বলিউডি সব ছবির মূল কন্টেন্টই ছিল নারী নির্যাতন। আর অধিকাংশ ছবিতেই নির্যাতিতার ভূমিকায় অভিনয় করতেন এই অভিনেত্রী। পঞ্চাশ থেকে সত্তরের দশকে বহু ছবিতেই এমন দৃশ্যে পর্দায় থাকতেন অভিনেত্রী নাজিমা।

তাঁর মুখশ্রী ছিল নিষ্পাপ লাবণ্যে ভরা অতি সুন্দর। সৌন্দর্যে তখনকার নায়িকাদের টেক্কাও দিতেন তিনি। আর সেই জন্যই নায়ক বা নায়িকার বোনের চরিত্রে নাজিমাকে এক দেখাতেই বাছাই করতেন বহু পরিচালক। নায়িকা হওয়ার বাসনা তাঁর মধ্যে ছিল।

আরো পড়ুন: SSC দু’র্নী’তি’র আঁ’চ বি’য়ে’তে, সরকারি শিক্ষককে ছে’ড়ে চলে গেলেন প্রেমিকা!

কিন্তু তা আর হয়ে উঠল কই! বোন বা বন্ধুর চরিত্রে নিয়মিত কাজ করতে করতে ইন্ডাস্ট্রিতে নাজিমার নামই হয়ে যায় ‘বলিউডের বোন’! আর তখনকার বলিউড ছবিতে এ ধরনের চরিত্ররাই ধ’র্ষ’ণে’র শিকার হত বেশি। ফলে বেশির ভাগ ছবিতেই পর্দায় ধর্ষিতা হতেন নাজিমা।

১৯৪৮ সালে নাসিকে জন্ম নাজিমার। ১৯৫৪ সালের ছবি ‘বিরাজ বহু’-তে শিশুশিল্পী ‘বেবি চাঁদ’ হিসেবে বলিউডে প্রথম কাজ তাঁর। ১৯৫৮ সালে প্রথম নায়িকার ভূমিকায় কাজ করেছিলেন ‘প্রিন্সেস সাবা’ নামে একটি ছবিতে।

তবে বলিউডে তাঁকে পরিচিতি দেয় বোন, বন্ধুর মতো পার্শ্বচরিত্রই। এর পর ষাটের দশকে ‘আরজু’, ‘আনজানা’, ‘অউরত’ ‘দিল্লাগি’, ‘তমান্না’, কিংবা সত্তরের দশকে ‘বেইমান’, ‘মনচলি’, ‘অলবেলি’, ‘বদনাম’— সব ছবিতেই তিনি বোনের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পর্দায় ধর্ষিতা।

আশির দশক পর্যন্ত প্রায় ৪০টির কাছাকাছি হিন্দি ছবিতে কাজ করেছেন নাজিমা। তবে এর পরেই বলিউড থেকে সরে যান এই অভিনেত্রী। কেউ কেউ বলেন, ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ২৭ বছর বয়সেই মৃ্ত্যু হয় তাঁর।

তবে তাঁর মৃত্যু নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। বলিপাড়ার আর একটি সূত্রের মতে, মোটেই কম বয়সে মারা যাননি নাজিমা। ২০১৮ অবধি তাঁকে বহাল তবিয়তে বেঁচে থাকতে দেখা গিয়েছে।