বঙ্কু বিহারী দত্ত কে আমরা তো সবাই চিনি, ওরফে বঙ্কু বাবু। কাঁকুড়গাছি প্রাইমারি স্কুলের নিরীহ ভূগোল ও বাংলা শিক্ষক। তাকে এ গ্রামের মানুষজন তেমন একটা পরোয়া করত না ঠিকই কিন্তু, যখন থেকে পঞ্চা ঘোষের বাঁশ বাগানে ক্রেনিয়াস গ্রহের অ্যাং এর সাথে পরিচয় হয়েছে তার ,তখন থেকে সবাই কেমন যেন মান্যিগন্যি করে তাকে। সেই বাঁশ বাগানের একটি ডোবার উপর উঁচু কাচের ঢিবির মতো দেখতে, যাকে ইংরেজিতে ইউএফও বলে থাকে লোকে। সেই যন্ত্র থেকে যখন গোলাপী আভা ছড়িয়ে অদ্ভুত ধরণের দেখতে এক জীব বেরিয়ে আসে বঙ্কুবিহারী বাবুর সামনে, তখন সত্যিই হকচকিয়ে ওঠেন তিনি।
পরে পরিচয় দিলে জানতে পারা যায়, নাম তার অ্যাং, ক্রেনিয়াস গ্রহের প্রাণী সে ও মানুষের থেকেও নাকি উন্নতমানের জীব তারা মোট ১৪ হাজার ভাষার ওপর গভীর জ্ঞানও রয়েছে তারা। এই উড়ন্ত চাকতি সম্পর্কে অনেক কাল আগে কাঁকুড়গাছি গ্রাম জানতে পারলেও , আমেরিকা সেটা নিয়ে এখনও তেমন ভাবে কিছু বুঝে উঠতে পারে নি। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা এই নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু সঠিক উত্তর হাতে আসেনি এখনো।অনেকেই মনে করছে তাদের উপস্থিতি কিছুটা হলেও আছে আবার অনেকে এটা স্বীকার করতে চাইছে না। কিন্তু আছে কিংবা নেই এর মধ্যে খানের যে বিষয়বস্তু সেটা নিয়ে ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়েছে বহু হলিউডের বলিউডের ছবি। যার মধ্যে বিখ্যাত স্টিভেন স্পিলবার্গের ক্লোজ এনকাউন্টার অফ দা থার্ড কাইন্ড।
তবে এইনিয়ে কিংবদন্তি বৈজ্ঞানিক এনরিকো ফার্মি বলেছিলেন, ‘‘ব্রহ্মাণ্ডে যদি সত্যিই নানারকম প্রাণী থাকে, তা হলে এতদিন সন্ধান পেলাম না কেন! ইফ এলিয়েন্স আর আউ়ট দেয়ার, হোয়াই হ্যাভন্ট উই সিন দেম। তবে এই নিয়েও অনেক অমত জানিয়েছেন অনেকে, অন্যসব বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন সৌরমণ্ডলের মোট 400 কোটি নক্ষত্র রয়েছে, এর মধ্যে কয়েক লক্ষ কোটি রয়েছে ছায়াপথ।তাহলে আমরা কি করে এতটা জিরো ভাবে বলতে পারি যে সৌরমণ্ডলের অন্য কোনো গ্রহে অন্য প্রাণীদের বসবাস নেই? তাই একেবারে চুপ করে বসে থাকতে পারছে না বিজ্ঞানীরা, ইতিমধ্যেই আমেরিকা কয়েক লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছে এই অনুসন্ধান চালানোর জন্য। কিন্তু তার হদিশ এখনো পাওয়া যায়নি।
কিছুদিন আগেই নেদারল্যান্ডসে ইউএফও দেখা নিয়ে কিংবা ভিনগ্রহের প্রাণীদের দেখা পাওয়া নিয়ে দারুণ শোরগোল উঠেছিল। এমনকি নেদারল্যান্ডসের পুলিশ স্পষ্ট জানিয়েছে এই নিয়ে সাধারন মানুষ রিপোর্টও দায়ের করেছে। কিন্তু স্পষ্ট এখনো তাদের অবস্থান সম্পর্কে অবগত নয় বিজ্ঞানীরা। কিন্তু চুপ করে বসে থাকবে না তারা, এখন না হোক হয়তো আরও কয়েক বছর পর ঠিকই মিলবে তাদের অস্তিত্ব। এমনটাই মনে করছে বহূ বিজ্ঞানীর দল।তাই তারা মামা খাওয়া ছেড়ে রাতদিন এক করে এই আনআইডেন্টিফায়েড অবজেক্ট এর পিছনে লেগে রয়েছে।