বিবাহ এবং বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক যেন এখন ডাল-ভাত হয়ে গেছে। শ্রাবন্তী থেকে শুরু করে নুসরাত সকলেই বিবাহবিচ্ছেদের দিকে পা বাড়িয়েছেন। কিন্তু নুসরাত যেহেতু অন্তঃসত্ত্বা তাই তার খবর সব সময় আমরা দেখতে পাই খবরের শিরোনামে। নুসরাত এবং যশ দাশগুপ্ত কিন্তু তাদের সম্পর্ক কোনো কথা বলেননি। নুসরাতের প্রাক্তন আমি নিখিল জৈন ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার সংবাদমাধ্যমের সামনে তার মনের কথা জানিয়েছেন। নুসরাতের আগত সন্তান যে কার নয় সে কথাও তিনি জানাতে ভোলেননি। নিখিল জৈন কে সহানুভূতি জানিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ফ্যান ক্লাব খুলে ফেলেছেন তার ভক্তরা।
View this post on Instagram
তবে বিতর্ক থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন যশ দাশগুপ্ত। কিন্তু নেটিজেনদের এড়িয়ে গেলেও বাবা-মাকে কি এড়ানো যায় কোনদিন? সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামের একটি পোস্ট দেখে আপাতত সে কথাই বুঝতে পারা যাচ্ছে। সমাজের সঙ্গে লড়ে গেলেও বাড়ির সকলের সঙ্গে লড়তে পারছেন না যশ দাশগুপ্ত। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামের একটি পোস্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে এই কথা।
বুধবার নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে যশ দাশগুপ্ত লিখেছেন, পরিবার বলতে আমরা বুঝি সব থেকে নিরাপদ জায়গা। কিন্তু কখনো কখনো এই পরিবার আমাদের গভীর ভাবে আঘাত দিয়ে দেয়। পোষ্ট দেখে আরো একবার বিতর্ক শুরু হয়েছে নেট দুনিয়াতে। সকলেই সন্দেহ করেছেন যে যশোর ব্যক্তিগত সম্পর্ক কে ঘিরে হয়তো পরিবারের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়েছে। এই সন্দেহ তখন আরও বেশি স্পষ্ট হয়ে যায় যখন প্রথম পোস্ট এর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই দ্বিতীয় পোস্ট দেখা যায় অভিনেতার পক্ষ থেকে।
View this post on Instagram
নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্ট একটি সাদাকালো ছবিতে যশ দাশগুপ্ত আরো একবার লিখলেন, আমি পরিবারের কুলাঙ্গার হতে পারি কিন্তু পরিবারের যারা নিজেদের খুব সৎ বলে মনে করেন তারা কিন্তু ততটা সৎ নয়। এই পোস্ট দেখে বুঝতে পারা যাচ্ছে যে প্রত্যেক পরিবারের মতো যশ দাশগুপ্তের পরিবারের কোনো না কোনো মনোমালিন্য দেখতে পাওয়া গেছে। একদিকে রাজনীতি অন্যদিকে ব্যক্তিগত জীবন আবার অন্যদিকে অভিনয় জগৎ সবকিছু নিয়ে রীতিমতো জেরবার হয়ে গেছেন যশ দাশগুপ্ত।