সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

জায়গা হয়নি স্বামীর ঘ’রে, এতদিন অভিনয় করেও ইন্ডাস্ট্রি থেকে পাননি প্রা’প্য সম্মান, জানুন গীতা দে-র কাহিনী

এক কিংবদন্তি খলনায়িকার জীবনেও যে এত দুঃখ থাকতে পারে তা জানা ছিল না আমাদের,জানলে অবাক হয়ে যেতে হয় অভিনেত্রী বাস্তব জীবন জানলে। হ্যাঁ আমরা কথা বলছি জনপ্রিয় অভিনেত্রী গীতা দে কে নিয়ে, যিনি খল নায়িকা চরিত্রে এর জন্য একদম উপযুক্ত ছিলেন এবং তাঁর কর্কশ কণ্ঠস্বরে সবাই ভয়ে ত্রস্থ, তবে বাস্তব তিনি জীবনে দুঃখ কষ্ট ছাড়া আর কিছুই পাননি। ছোটবেলাতেই বাবা-মার ডিভোর্স দেখেছেন। বাবা ছিলেন পেশায় একজন ডাক্তার, আর মা রেনুবালা দেবি ছিলেন গৃহিণী, তবে তাঁদের সংসার বেশিদিন টেকেনি, বাবা-মার মধ্যে যে কোন একজনকে বেছে নিতে হল সেই ছোট্ট গীতা কে। আর তিনি বেছে নিয়েওছিলেন মা কে।

তাইতো তাঁর মা তাকে বুকে করে আগলে বলেছিলেন যে, সে খুব বোকা, যেখানে বাবাকে বেছে নিলে আরামে জীবন কাটাতে পারতেন, সেখানে তার মা তাঁকে কিছুই দিতে পারবে না। এমনকি তাঁর মাও কিছুদিন পর দ্বিতীয় বিবাহ করেন, সৎ বাবা তাঁকে সিনেমা জগতে আসতে বাধ্য করেন। কারণ তার সৎ বাবা তার কোন দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেন। সেই থেকেই তাঁর সিনেমা জগতের হাতে খড়ি।

একের পর এক থিয়েটার অভিনয় করে গেছেন তিনি, যদিও মাত্র ১৪ বছর বয়সে তার মা কে তিনি হারান। মায়ের স্নেহ থেকে বঞ্চিত হন তিনি, মাত্র ছয় বছর বয়সে তিনি থিয়েটারে অভিনয় করেন, তাও আবার বিখ্যাত গায়িকা রাধারানী দেবীর প্রচেষ্টায় প্রবোধ গুহর মঞ্চে ঠঁাই পেলেন গীতা দে। তখন তারা মাত্র ৫ টাকা পারিশ্রমিক, সেই সময় সংসারের দায়ভারও তাঁর ই ওপর।

এরপর তঁার শিশির ভাদুড়ী সাথেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে জীবনে , যদিও বিয়ের পরবর্তী জীবনে তাঁর শাশুড়ি মা পছন্দ করতেন না তাঁর সিনেমা জগতে কাজ করা, তাই তাঁর শাশুড়ি মা তার স্বামীর দ্বিতীয় বিয়েও দেন, ডিভোর্স অবধি অপেক্ষাও করেন নি তাঁরা। তবুও তিনি আজীবনকাল স্বামীর পদবী ব্যবহার করে গেছেন এবং সিঁথিতে সিঁদুর পড়েছেন।

তাঁর অভিনয় দক্ষতাও ছিল অপরিসীম, একের পর এক সিনেমায় তিনি অভূতপূর্ব অভিনয় করে গেছেন এমনকি নাটক ও করতেন, যে কারণে এক বিদেশি পরিচালক তার সম্বন্ধে বলেছেন যে, বিদেশে যদি তিনি জন্মগ্রহণ করতেন তিনি অস্কারের দাবি রাখতেন। এই ভারতে তিনি তার প্রাপ্য সম্মানটুকুর ছিটেফোঁটাও পাননি। এমনকি আজও তিনি স্মৃতির অতল গভীরে পড়ে আছেন, তার নিয়ে কোথাও তেমন কোন চর্চা হয় না ও তার শিল্পীসত্তাকে তেমন প্রাধান্য দেয়া হয় না।