সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ঠিক কোন কোন ল’ক্ষ’ণে বুঝবেন ফুসফুসের স’ম’স্যা হয়েছে!

ফুসফুস মেরুদণ্ডী প্রাণীর একটি প্রধান অঙ্গ যা শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই অঙ্গটির প্রধান কাজ হলো বাতাস থেকে অক্সিজেনকে রক্তপ্রবাহে নেওয়া এবং রক্তপ্রবাহ থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইডকে বাতাসে বের করা। ফুসফুস এই গ্যাস আদান-প্রদান করে বিশেষায়িত কোষ দ্বারা।এগুলি খুবই পাতলা দেয়াল বিশিষ্ট লক্ষাধিক বায়ু থলি, যাকে অ্যালভিওলাই বলে।

এর শ্বাসকার্য ছাড়া অন্য কাজও আছে। যেমন -শিরায় তৈরি হওয়া ছোট ছোট রক্ত পিন্ড অপসারন করে।হৃৎপিণ্ডকে রক্ষা করার জন্য নরম, ঘাতসহ স্তর হিসাবে ব্যবহৃত হয়, যা প্রায় চারপাশে হতে হৃৎপিণ্ডকে ঘিরে থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুসফুস তার কার্যক্ষমতা এবং নমনীয়তা দুটিই হারায়।

ফলে প্রতিবার প্রশ্বাস নেওয়ার সময় গৃহীত অক্সিজেনের পরিমাণ কমতে থাকে।অনেকসময় প্রশ্বাস নেওয়া চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। ফুসফুসে কোনো সমস্যা হলে ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রাথমিকভাবে ধরা পড়ে না।ফলে রোগটিকে নিয়ন্ত্রন করা হাতের নাগালের বাইরে চলে যায়।যে লক্ষণ গুলি লক্ষকরলে সচেতন হতে হবে সেগুলি নিন্মে আলোচনা করা হলো।

আরো খবর: 1 টাকার সমান 1 ডলার! এরকম হলে কতটা লা’ভ হ’বে আপনার? ক্ষ’তি হবে কতটা?

১. দীর্ঘস্থায়ী কাশি- দীর্ঘস্থায়ী কাশিকেই ফুসফুসের ক্ষতির প্রথম লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। যদি তাই এই লক্ষণ ১ সপ্তাহের বেশি থাকে তবে তা উপেক্ষা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

২. শ্বাসকষ্ট- কোনো কাজ করার সময় বা বিশ্রাম নেবার সময় শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে এবং ফুসফুসের এক্সরে করতে হবে।

৩. ক্রনিক মিউকাস- মিউকাস ফুসফুসকে বাহ্যিক ময়লা ধূলিকণা, জীবাণু, ধোঁয়া, ভাইরাস ও অন্যান্য বস্তু ঢোকা থেকে রক্ষা করে কিন্তু এর পরিমাণ বেড়ে যাওয়া মোটেই ভাল লক্ষণ নয়।

এছাড়া –

৪. কয়েকদিন ধরে কাশির সঙ্গে ক্রমাগত রক্ত পড়া,
৫. এক বা দুই সপ্তাহ বুকে ব্যথা হওয়া।

এইসব লক্ষণ জানান দিয়ে যায় যে আপনার ফুসফুস সুস্থ রয়েছে কি না।