সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

১৭ হাজার চাকরি রে’ডি করাই আ’ছে, আদালত অনুমতি না দি’লে কি ক’রে করবো?: মমতা

টেট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারি একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সেখানে চাকরির দাবি তোলেন। মঙ্গলবার তৃণমূলের কর্মী সভার একটি অনুষ্ঠানে কয়েকজন এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থী মুখ্যমন্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার দাবি করেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সমস্ত চাকরিপ্রার্থীদের ডেকে তাদের চাকরি দেওয়ার দাবিকে মেনে নিয়ে আসস্ত করেছিলেন, কিন্তু মঙ্গলবার তাকে দেখে যথেষ্ট ক্ষুদ্ধ মনে হয়েছে।

পুলিশ কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার সেই প্রতিবাদীদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য উদ্যোগী হয়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ১৭ হাজার শিক্ষককে চাকরি দেওয়ার জন্য তিনি প্রস্তুত, কিন্তু চাকরিপ্রার্থীরা আদালতের এই সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা করার জন্য নিয়োগ পত্রের ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছে।

আরো পড়ুন: শুভেন্দু অধিকারীর গ্রে’ফ’তা’রি’র দা’বি’তে এবার রাজভবনে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা, কি বললেন রাজ্যপাল?

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবাদী চাকুরী প্রার্থীদের জানিয়েছেন, যদি চাকুরী পেতে হয় তাহলে আদালতের অনুমতি আনতে হবে। আসানসোলে মমতা ব্যানার্জির একটি আনুষ্ঠানিক মিটিংয়ে কয়েকজন মহিলা উপস্থিত ছিলেন এবং যারা পোস্টার উঠিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দৃষ্টিতে তাদের দিকে আকর্ষণ করতে চেয়ে ছিলেন কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদেরকে বসতে নির্দেশ দেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন যেই সমস্ত প্রার্থীদের সিপিএম এবং বিজেপি পাঠিয়েছে, উল্টোদিকে চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়েছেন তাদের সঙ্গে অন্য কোন পার্টির সংক্রান্ত ব্যাপারে চক্রান্ত নেই তারা শুধুমাত্র এসেছেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে চাকরির ব্যাপারে কথা বলতে।

কিন্তু সেই উত্তরের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি শুধুই আদালতের নির্দেশ মানবেন, তাদের যদি চাকরি পেতে হয় তাহলে আইনজীবীদের সাথে কথা বলতে হবে। ১৭ হাজার চাকরি ইতিমধ্যেই রেডি রয়েছে কিন্তু কোর্টে মামলা হওয়ার জন্য এই নিয়োগের কাজে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।

মুখ্য মন্ত্রী আরো বলেন,” বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের আইনজীবী সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ কলকাতায় গিয়ে এই ব্যাপারে বলুন। তাকে বলুন যে আপনার টাকার অভাব নেই তাই আপনি আমাদের চাকরি করানোর ব্যবস্থা করুন।”

এসএসসির মামলা হাইকোর্টে উঠতেই ২৬৯ জন শিক্ষকের ইতিমধ্যেই চাকরি চলে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য চাকরি থেকে তারা কাউকেই বঞ্চিত করেন না। তাই যদি চাকরি পেতে হয় তাহলে আদালতের কাছে যেতে হবে এবং আদালত অনুমতি দিলে তবে তারা চাকরিতে বঞ্চিত প্রার্থীদের আবার নিয়োগ করবেন।