নেট মাধ্যম যতটা আমাদের কাজে লাগে কিছু মানুষ অকাজেও ঠিক ততটাই লাগায়। ঠিক তেমনি একটি ঘটনা ঘটে মধ্যপ্রদেশের রাজগর জেলায়। আমরা মাঝে মাঝেই এরকম খবর শুনে থাকি যে ঋণের বোঝা সামলাতে না পেরে কোনো ব্যাক্তি আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু এই গল্পটা তা নয়, ইনি নিজের স্ত্রীকে মারার প্ল্যান করে ঋণ শোধ করবে বলে।
আর এই কাজ ঘটাতে নেট মাধ্যমের সাহায্য নেন তিনি পুলিশ সূত্রে তাই জানা গিয়েছে। সেই যুবকের এই পরিকল্পনার কথা শুনে অবাক এলাকার লোকজন। শেষ অব্দি পুলিশ গ্রেফতার করেছে সেই যুবক ও তাঁর সাহায্যকারী দুটি বন্ধুটিকে। পুলিশের কাছ থেকে জানা যায় যে, এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের রাজগর জেলায়। অভিযুক্ত যুবকটির নাম বদ্রীপ্রসাদ মিনা।
ঋণের বোঝা ছিল তার মাথায়, ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি পেতে তিনি পথ খুঁজছিলেন। এরপরই কিভাবে ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি পাবেন সেই ভেবে কিছু উপায় বের করার জন্য ইন্টারনেটের সাহায্য নেয়। তারপরই সে একটির পর একটি ভিডিও দেখতে থাকেন। আর তারপরই সে ঠিক করে তার স্ত্রীকে মেরে সে তার ঋণ শোধ করবে।
আরো পড়ুন: বিস্কুটের গা’য়ে কেন অনেক ফু’টো থা’কে? কারণটি কি?
তার ছক কষেও ফেলেন তিনি। পূর্ণ পরিকল্পনামাফিক তিনি এই কাজটি করেন। তিনি প্ল্যান করেন যে তার স্ত্রী পূজার নামে এক মোটা টাকার বীমা করবেন। পরে তাকে মেরে দিয়ে বিমার টাকা হাতিয়ে নেবেন। আর সেই পরিকল্পনামাফিক সে বীমা করায়। গত ২৬শে জুলাই রাতে ভোপাল রোডে রাত ন টার সময় গুলি করেন তার স্ত্রীকে।
তারপর তার স্ত্রীকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁর স্ত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তবে এখানেই শেষ নয়, সে জানতো এটা পুলিশ কেস। তাই পুলিশকে অব্দি ভুল দিকে চালনা করার চেষ্টা করে । পুলিশকে ৪টি ছেলের কথা বলেন। অভিযোগ করেন সেই যুবকেরা তার স্ত্রীকে মেরেছে। কিন্তু পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে বোঝেন যে উনি মিথ্যে কথা বলছেন।
আস্তে আস্তে তদন্তে উঠে আসে যে ছেলেগুলোর কথা বলছেন বদ্রী প্রসাদ মিনা তারা ওই ঘটনাস্থলে সেই দিন সেই সময় ছিলোই না। তারপরেই সন্দেহ হয় পুলিশের বদ্রী প্রসাদের ওপর। আর শেষ অব্দি তদন্তে আসল খুনি হিসেবে বদ্রী প্রসাদ মিনাকেই প্রমাণিত করেন পুলিশ। এমনকি তাঁর সাথে আরও দুই যুবক ছিল বলেও জানা যায়। তারা সাহায্য করে বদ্রী প্রসাদকে।
বদ্রী প্রসাদ সহ তার এক সঙ্গীকে গ্রেফতার করেন পুলিশ। আরও এক সঙ্গী পলাতক তাকে এখনও পাওয়া যায়নি বলে খবর। নির্দিষ্ট ধারায় তাদের নামে মামলা করা হয়েছে। এবং পলাতক যুবকটির খোঁজ চলছে। এই সমস্ত ঘটনাটাই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।