অনেক বার অনুরোধ করেও স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে পারলো না জামাই। আবার শ্বশুরবাড়ি থেকে জামাই ষষ্ঠীর নিমন্ত্রণ পাননি তিনি। ভীষণ অভিমানী কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করলেন ওই যুবক।
মৃত সরজিত দাস কৃষ্ণনগর ভীমপুর থানার বাগবেরিয়া পঞ্চায়েতের ময়দান পুর এলাকার বাসিন্দা। আত্মঘাতী স্ত্রীর নাম সুচিত্রা। 11 বছর আগে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। দুই পুত্র সন্তান রয়েছে।
বিবাহের পর থেকেই সরজিত এবং সুচিত্রার মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। বিভিন্ন সময়ে সরজিত স্ত্রীকে মারতেন বলে শোনা যায়। এরমধ্যে শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে সুচিত্রা ভীমপুর বাপের বাড়িতে চলে যান।
আরো পড়ুন: বড়ো খবর: ভুটান সীমান্ত খু’ল’তে পা’রে ১ জুলাই থেকে
বারবার বাড়ি ফিরতে অনুরোধ করার পরেও সুচিত্রা ফিরে আসেনি। জামাইষষ্ঠীতে শ্বশুর বাড়ি গিয়েছিলেন আত্মঘাতী। ঐদিন স্ত্রীকে শাখা কিনে দেন তিনি। এরপর দুপুরের দিকে দুই ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন।
বাড়ি ফেরার পথে কীটনাশক খান বলে মনে করা হচ্ছে। বাড়ি ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় শক্তিনগড় হাসপাতালে। মঙ্গলবার গভীর রাতে তিনি মারা যান।
মৃত্যু হবার পর ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় মৃত দেহকে, এরপর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় ।স্বামীর মৃত্যুর পর সুচিত্রা বলেন, ও মানসিক দিক থেকে কিছুটা ভারসাম্যহীন ছিল।
কাজের জন্য মাসখানেক আগে আমরা একসঙ্গে বাদকুল্লা গিয়েছিলাম। আমাকে সবসময় মারধর করত ও। এই পরিস্থিতিতে দুই ছেলেকে নিয়ে আমি বাড়ি চলে আসি। আমি আর শ্বশুরবাড়িতে চাইনি।
আরো পড়ুন: বিশ্বের কো’ন শহরে থাকার খরচ সবচেয়ে বে’শি? জানুন কি ব’ল’ছে সমীক্ষায়
মৃতের বাবা ধীরেন্দ্র দাস জানিয়েছেন, জামাইষষ্ঠীর দিন ও শ্বশুর বাড়ি গিয়েছিল। কিন্তু দুপুরের দিকে বাড়ি চলে আসে। ফিরেই বমি করতে শুরু করে দেয়।
সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বৌমাকে বারবার বাড়িতে আনার জন্য যে তো শ্বশুর বাড়ি কিন্তু আসতে চাইতো না। এর ফলেই হয়তো আত্মহত্যা করেছে ও।