সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বিশ্বের বৃহত্তম মাছ জালবন্দি হ’লো মৎস্যজীবীদের হা’তে, চা’ঞ্চ’ল্য অন্ধ্রের উপকূলে

অন্ধ্রপ্রদেশে মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ল এমন একটি প্রাণী যা সচরাচর দেখতে পাওয়া যায় না গভীর সমুদ্র ছাড়া। অন্ধকার প্রদেশের যাদের চলাচল সেই হোয়েল শার্কদের একজন ধরা পড়ল অন্ধ্রপ্রদেশে। বনদপ্তর এর তৎপরতায় দুই টন ওজনের মাছ দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল সমুদ্রে। বিশ্বের বৃহত্তম মাছ হোয়েল শার্ক একটি অতি বিপন্ন প্রজাতি বলে গণ্য করা হয়। পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষার জন্য এই সমস্ত প্রাণী দের বাঁচিয়ে রাখা একান্ত দরকার। বিশাখাপত্তনম সমুদ্রসৈকতে মাছ ধরার সময় মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ে যায় এই অতিকায় মাছ। এরপর বনদপ্তর এর কর্মীরা হাজির হন সেখানে। বনদপ্তর কর্মীদের তত্ত্বাবধানে এই মাছটিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সমুদ্রে।

এই প্রসঙ্গে জেলা বন আধিকারিক তথা ডিএফ ও অনন্ত শংকর জানিয়েছেন, মাসিকে সমুদ্রে ফিরিয়ে নিয়ে যারা খুব একটি সহজ কাজ ছিল না। শারীরিক এবং মানসিকভাবে কষ্ট করতে হয়েছে এই কাজ করার জন্য। তবে শেষ পর্যন্ত সাফল্য মণ্ডিত ভাবে আমরা এই মাছটিকে জীবিত অবস্থায় সমুদ্রে ফিরিয়ে দিয়েছি। পুরো ব্যাপারটি সাফল্যের সঙ্গে সম্ভব হয়েছে করা। মাছটি সাঁতরে সমুদ্রের গভীরে চলে গেছে।

বনদপ্তর এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে এই মাছের দেখা পেলে সঙ্গে সঙ্গে যেন জানানো হয় বনদপ্তর কে। মাছ গুলি কে নিরাপদে ফিরিয়ে না দিতে পারলে ভবিষ্যতে পৃথিবীর ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে এই সমস্ত মাছ যদি কোনভাবে মৎস্যজীবীদের জাল অথবা অন্যকোন সামগ্রির ক্ষতি করে তাহলে সেক্ষেত্রে মৎস্যজীবীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, একটি পূর্ণবয়স্ক হোয়েল শার্ক 18 মিটারের বেশি দীর্ঘ হয়। সাধারণত কর্কট কান্তি অঞ্চলে দেখা পাওয়া যায়। ৮০ থেকে ১৩০ বছর আয়ু হয় এদের। তিমি অথবা সঙ্গে সঙ্গে সাদৃশ্য থাকলেও এদের বলা হয় হোয়েল শার্ক।