পরণে তার সুন্দর কাপড়, বেশভূষা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। কিন্তু এই ছিল তার মনে? সত্যি অবাক করা ব্যাপার। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়িতে। রাস্তার পাশে বসে থাকতে দেখেছে সেই মহিলাটিকে, স্বাভাবিকভাবেই তেমনভাবে কেউ নজর দেয়নি তার ওপর। হঠাৎ বসে থাকতে থাকতেই আচমকা লাফ দেয় ট্রাকের সামন।
প্রথম দফায় তিনি অসফল হয়। তখনই ঐ রাস্তা ধরে যাচ্ছিলেন সদর ট্রাফিক পুলিশের ওসি বাপ্পা সাহা।একেবারে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই প্রাণ বাঁচায় সেই মহিলার। একবারে মাঝ রাস্তায় এমন কান্ড ঘটিয়ে বসে সেই মহিলা, যা দেখে একেবারে হতবাক সকলে। রবিবার দুপুরে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত অসম মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।
ইতিমধ্যেই কাউন্সিলিং করার ব্যবস্হা করা হয়েছে মহিলাটির। একেবারে টিম নিয়েই টহল দিচ্ছিলেন ওসি, কিন্তু তিনিও বুঝতে পারেন না , এমন ঘটনা ঘটে যাবে। প্রবল বেগে রাস্তা দিয়ে লড়ি ছুটে যাচ্ছিল। সেই মাঝেই এই কান্ড করে বসে মহিলা।কিন্তু চালক খুবই দক্ষতার সাথে কন্ট্রোল করে নেয় সমস্ত ব্যাপার। যার কারণে বিশাল দুর্ঘটনার থেকে রক্ষা পায় মহিলা। তাছাড়া এই মহিলা আরও কয়েকবার ঝাঁপ দেয় লড়ির সামনে।
আরো পড়ুন: শেন ওয়ার্নের মৃ’ত্যু কী’ভা’বে হয়েছে? সামনে হ’লো ময়নাতদন্তের রি’পো’র্ট
পরে পুলিশের জন্যই প্রাণে বেঁচে যায় মহিলা।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পরিবারিক অশান্তির কারণেই এই কাজ করতে আসে মহিলা। মহিলার নাম ভক্তি সরকার, কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত অসম মোড় তারাপাড়া এলাকায় তার বাড়ি। ইতিমধ্যেই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে মহিলার কাউন্সিলিংয়ের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পরিবারিক কোন কারণে এমন কাজ করতে চলেছিলেন তিনি তার খবর নেওয়া হচ্ছে। তবে ট্রাফিক পুলিশ বাপ্পা সাহা যে কাজ করেছেন তা প্রশংসনীয়। শ্বশুর বাড়ির অশান্তির জন্যই মরতে এসেছিল সে, মহিলা সেটা নিজেই জানায়, তাছাড়া সে আরও বলে বর,ননদ, সবাই মারতে আসে। অশান্তির মধ্যে থাকতে আর পারছিলাম না। আমার ছেলে মেয়ে আছে। কিন্তু এই অশান্তি আমীর আর নিতে পারছিলাম না। যার কারণেই এই কাজ করতে আসি আমি।