কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়! সম্প্রতি ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপালে ঘটে গিয়েছে এক মজাদার ঘটনা। শুরু তেই বলে রাখি মধ্যপ্রদেশের এই দম্পতির মধ্যে যৌ’ন’মি’ল’ন নিয়ে বিবাদ তৈরী হয়েছিল। ঘটনার সূত্রপাত আসলে স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর মিলনে অনীহা নিয়ে। মাসের পর মাস কেটে গেলেও স্ত্রীর কাছাকাছি আসা হয়নি স্বামীর। আর তাই স্বামীকে যৌন মিলনে অক্ষম বলেই ভেবে নিয়েছিলেন তরুণী। সেই সন্দেহের জল গড়ায় আইনি রাস্তাতেও। স্বামীকে ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে যান তিনি। স্ত্রীর মন পেতে রীতিমতো পরীক্ষা দিয়ে সুস্থতা প্রমাণ করলেন ওই তরুণ।
সূত্রের খবর, লকডাউনের আগে বিয়ের ঠিক হলেও করোনা পরিস্থিতিতে সব পরিকল্পনা বদলে যায়। তবে বিয়ে বাতিল করার কথা ভাবেনি দুই পরিবার। তাই ছোট্ট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গত ২৯ জুন গাঁটছড়া বাঁধেন তরুণ-তরুণী। বিয়ে হলেও দু’জনের দাম্পত্য জীবনে ছিল না উষ্ণতার ছোঁয়া।
নববধূ এ প্রসঙ্গে দাবি করেছেন, বিয়ের পর থেকে এক ঘরে থাকলেও স্বামী নাকি কোনোদিন ছুঁয়ে দেখেননি তাঁকে। অনেকবার স্বামীর কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে সম্পর্কের উন্নতি হয়নি। পরিবর্তে দিনের পর দিন দূরত্বই বেড়েছে। একসময় স্বামীর যৌনক্ষমতা নিয়ে মনে প্রশ্ন জাগায় নববধূ বাধ্য হয়ে বিচ্ছেদের কথা ভাবেন। শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে গিয়ে থাকতে
শুরু করেন।
এরপর ভারতের লিগাল সার্ভিস অথরিটির কাছে অভিযোগ দায়ের করে বড় অঙ্কের টাকা দাবি করেন তরুণী। কাএই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কাউন্সেলর স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তরুণ পরিষ্কার জানান, তাঁর যৌ’ন মিলনে কোনো শারীরিক সমস্যা নেই। তরুণের দাবি আদৌ সত্যি কি না তা খতিয়ে দেখতে পরীক্ষা করা হয়। এরপর টেস্টের রিপোর্টেও দেখা যায় তরুণের দাবিই সঠিক। তাঁর সত্যিই কোনো শারীরিক সমস্যা নেই।
তাহলে কিসের এত আপত্তি স্ত্রীর সঙ্গে যৌন মিলনের? পরিবারের পক্ষ থেকে জোর করে বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল? আপনি কি অন্য কাউকে ভালোবাসেন? এই সব প্রশ্নের উত্তরে তরুণ স্পষ্ট করে জানান, বিয়ের সময় স্ত্রীর পরিবারের অনেকেই করোনা আক্রান্ত ছিলেন। তাঁর স্ত্রীও করোনা আক্রান্ত বলেই সন্দেহ তৈরি হয়েছিল। সে কারণে স্ত্রীর সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব রেখেছিলেন তিনি। তবে এবার স্ত্রীর সঙ্গে নিশ্চয়ই তাঁর সম্পর্কের উন্নতি হবে বলেই আশা রাখছেন এই তরুণ।
